বললে, এতখানি লালের উপর থেকে শিকারীর বন্দুকের তাগ কেমন করে ফসকাল, তাই ভাবছি। সোনালিয়া বুললে, সাধে কি গুলি ফসকেছে, চোখে যে তাদের ধাধা লেগে গেল। তারা মনে করেছিল, ঝোপের মধ্যে থেকে ছাই রঙের একটা তিতির-মিতির কেউ বার হবে, কিন্তু আমি ' সোনালি যখন হঠাৎ বেরিয়ে গেলুম সামনে দিয়ে দিয়ে তখন শিকারী দেখলে খানিক সোনার ঝলকা, আর আমি দেখলেম একটা আগুনের হলকা। গুলি যে কোনদিকে বেরিয়ে গেল কে তা দেখবে। কিন্তু ডালকুত্তোটা আমায় ঠিক তাড়া করে এল। কুকুরগুলো কী বজাত ’ এমন সময় জিম্মাকে দেখে অন্য কুকুর নয়, ওই ডালকুত্তোগুলোর মতো বজাত দেখিনি, বাপু । এই বলে সোনালিয়া একটু লুকোবার স্থান দেখিয়ে দিতে কুঁকড়োকে বারবার বলতে লাগল। কুঁকড়ে একটু সমিস্তায় পড়লেন । আগুনের ফুলকি এই সোনালিয়া পাখি, একে কোন ছাইগাদায় তিনি লুকোবেন । তিনি ছু একবার এ-কোণ ও-কোণ দেখে, এখানটা-ওখানটা দেখে বললেন, না, একে আর রামধনুককে লুকোতে পার কঠিন । জিন্ম বললে, “আমার ওই বাক্সটার মধ্যে লুকোতে পারা যেতে পারে, ইনি যদি রাজি হন।’ ‘ভালো কথা ’ বলেই সোনালি গিয়ে বাক্সে সেঁধোলেন, কিন্তু সেটুকু ঢেকে চেপে গম্ভীর হয়ে বসল। জিম্ম। বেশ বাগিয়ে বসেছে, এমন সময় বেড়ার ওধার থেকে বোলা-কান গালফুলে৷ ডালকুত্তে তন্মা' উকি দিলেন। জিন্ম যেন দেখতেই পায় নি এই ভাবে রুটিই চিবচ্ছে। তন্মা বললে, উঃ কিসের খোসবে ছাড়ছে। জিন্ম। সামনের থালাখান দেখিয়ে বললে, আজ একটু বনমুরগির ঝোল রাধা গেছে। ডালকুত্তো এবার পষ্ট করে শুধোলে, জিন্ম৷ এদিকে একটা সোনালিয়া পাখিকে আসতে দেখেছে কিনা। কুঁকড়ে সে কথা ९१
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।