পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখবার জন্তে দলে-দলে কাক আকাশের দিকে পা করা গাছের মোটা-মোট শিকড়গুলা নিয়ে টানাটানি চেঁচামেচি বাধিয়ে দিলে । ডোমকাক, ঢোড়াকাক পাতিকাক দুজনকে নিয়ে একেবারে ডোবাটার মধ্যে উড়ে পড়ে এদিক-ওদিক তদারক করে ইট পাটকেল উল্টে-পাণ্টে দেখতে লাগল। হঠাৎ এত বড়ো গর্তটা কেন এখানে আসে, ঠোকর দিয়ে সন্ধান করতে-করতে গর্তের একদিকে খানিক কাকর মাটি ঝরঝর করে খসে পড়ল, আর দেখা গেল ইটে-গাথা একটা চোর-কুঠুরি, তার মধ্যে তালা দেওয়া ছোটাে একটা পেটরার সামনে একটা মড়ার মাথা, কতকালের কলঙ্ক-ধরা একটা পিদুম আর গোখরে সাপের একটা খোলস | মড়ার মাথা সাপের খোলস দুটোই সব কাকের দেখা ছিল, পিছম নিয়েও অনেকবার তারা পালিয়েছে, কিন্তু পেটরাটার মধ্যে কী আছে কোনো কাকই ভা জানে না, কাজেই এদিকে-ওদিকে ঠোকর দিয়ে তালাটা ধরে নাডা দিয়ে দেখছে, এমন সময় গর্তের উপর থেকে খেকশেয়াল আস্তেআস্তে বললে –“হচ্ছে কী ? টাও নিয়ে নাড়াচাড়া কোবো না, ওতে সাত রাজার ধন আছে, যদি খুলতে চাও তো একজন যক ধরে আনে, যকের ধন যক্‌ না হলে কেউ খুলতে পাববে না।’ সাত রাজার ধন আছে শুনে কাকদের চক্ষু স্থিব ! চ - চকে পয়সা মোহর ভালোবাসতে তাদের মতো দুটো নেই, ডোম কাক পাতিকাক ভূষোকাক ছিটেকাক দাড়কাক সব কাক এসে শেয়ালকে ঘিরে —ক্যা-কা-ক্যা কও-কও-কও রব করে গণ্ডগোল বাধিযে দিলে। ডোমকাক সবাইকে ধমকে চুপ করিয়ে শেয়ালকে শুধোলে —যকৃ এখন কেমন করে পাওয়া যায় ? শেয়াল ডাওর করে মাথা চুলকে নাক রগড়ে যেন কতই ভেবে . বললে –‘আমি জানি এক যকের সন্ধান, সে ছুলেই এই বাক্স খুলে যাবে। কাকের অমনি চিৎকার করে উঠল –‘কই-কই’ –বলে OHO