পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপায় নেই, এমনি প্যাচাও রকমে সে-সব ঘর সাজানে। ছ-তলার উপরে রাজসভা, সেখানে কতকটা আলো-বাতাস আসবার জন্তে সারি সারি জানলা-বারাও, সাততলায় অন্দর মহল, সেখানে জানল সব খাচার মতো পাথরের জাল দিয়ে বন্ধ, পোষা পাখের মতো রানীদের ধরে রাখার জন্যে ছোটো-ছোটো কুলুঙ্গি দেওয়া দরজায় শিকল আঁটা সব শয়ন-মন্দির। . অন্ধকূপ এই নাটবাড়িতে আড়িমাও রাজাদের বংশ ভালো আলো-বাতাস না পেয়ে গুষ্ঠিমৃদ্ধ লোকলস্কর সমেত অল্পদিনের মধ্যেই মরে ভূত হয়ে গেল, রইল কেবল বাড়ির চুড়োয় মস্ত একটা পাথরের আলসের উপরে খড়-কুটো দিয়ে বাসা বানিয়ে একঠেঙে —সে হাড়গিলের রাজা খাম্বাজং। রানীর শয়ন-ঘরের কুলুঙ্গিগুলোতে গোটাকতক লক্ষ্মী-পেচা কালো-পেচা ভুতুম-পেঁচ, রাজসভার কার্নিশে কার্নিশে ঝলে দলে-দলে বাদুড়, রন্ধনশালায় একটা কালো বেড়াল, আর ঘি-ময়দা চাল-ডাল শাল-দোশালা ধন-দৌলতে ঠাসা নিচেকার ভাড়ার ঘরগুলো তো গড়বন্দি পালে-পালে গণেশের নেংটি" ইছর। হাড়গিলে পেচা বেড়াল এরা সবাই ইহুরের শত্রু হলেও গণেশের ইচ্ছুরকে তারা খাতির করে চলত, পৃথিবীর যেখানে যত গণেশ আছে, সবার জন্যে এই নাটবাড়ি থেকে ইছর যায়, এদের কেউ কিছু বলবার যে নেই, কাজেই নেংটি ইকুরের দল দেশ জুড়ে নানা উৎপাত আর রাজত্ব করছিল, এই সময় কোথা থেকে তাতারি-চুয়ো এসে হানা দিয়ে, যেখানে-সেখানে গণেশ উল্টে, ফেলে নেংটি বংশ ধ্বংস করতে শুরু করে দিলে । গোলাবাড়ি, ঠাকুরবাড়ি, গোয়ালঘর, রান্নাঘর, কাচারিঘর, হেঁসেলঘর, শোবারঘর, বসারঘর, তোষখান, বৈঠকখানা, জায়গা দেশের সব থেকে তাড়া খেয়ে নেংটি সরে পড়তে লাগল, লড়ামে হারতে থাকল, না খেয়ে মরতে লাগল ; শেষে এমন হল যে, এক পুরোনো নাটবাড়ি ছাড়া গণেশের ইধর আর কোথাও রইল না। গণেশের সিংহাসন টলমল করতে থাকল, মামুষে নেংটি ইছর মারত \లిat به ه-ساسانی .