পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হুকুম হল রাজার –ফুলটুঙি মহল ধোলাই করবার – ধারণ দিয়ে পড়ল নালি বহে আবীর কুমকুম কেশরের লালি । শ্বেত পাথরের টালি যেমন শাদা ছিল তেমনি হল, শুধু লেগে রইল পাথরের তক্তে যেন লোহার কষের মতে, শক্ত চাপ রক্তের মতো রাঙা দাগ একটা দাড়ি। ওঠানো গেল না ঘষে সেটা জল বালি । মস্ত রাজবাড়ির মস্ত কারখানা, তার মধ্যে কে করে ঠিকানা —দাগটা রেখে গেল কিনা যাবার কালে ফুলওয়ালী ! বাদ এক বছর । ছপুলিয়াতে দেয়ালি বাতে আকাশ পাঠাল ঝড় জলের ঝাপটা : দশটা কি এগারোটা কে করে ঠিক : হাওয়া কাদছে, যেন প্যাচার খপ্পরে চেচাচ্ছে শালিক ! হয়ে ত্রস্ত, রাজারে খবর দিল নফর –অন্দরের দোরে কড়া নাড়ছেন এক কাপালিক –হাতে একখানা কাস্তে মস্ত ! হুকুম হলো ফুলটুঙি ঘরে কাপালিককে বাসা দিতে। বসবে ভৈরবী চক্কর—বুঝে নিল নফর রাজার একটু ইঙ্গিতে। সেদিন ফুলটুঙি ঘরে রাত দুই প্রহরে বাঘাসনও পড়ল রাজাসনও পড়ল ছুই জনার। হুকুম নাই চাকর নফর কারে। ঢোকবার, কি চৌকিদার কি চোপদার। বাহিরে ঝড় ঝাপটার মাতন ফুলবাগান দলে ফুলটুঙিতে । ভিতরে ফিরছে ঘন ঘন কারণ মরা মানুষের মাথার খুলিতে। ঝড়ের গর্জনে মিলছে থেকে-থেকে অট্টহাস । ঝনঝন চুলছে ঝাড়, পর্দা উড়ছে এপাশ-ওপাশ । শব্দ হচ্ছে, যেন নৃত্য করছে তুটো পিশাচ । রাজার খাস কামরার আলো জ্বলছে নিভছে, দেখা যায় ঘুলঘুলিতে। ক্রমে দেয়ালির রাত হল অবসান –ভোরের আলোতে অস্পষ্ট প্রতীয়মান ফুলটুঙির ভাঙা ফুলবাগান। ফুলটুঙি ঘরে জাগাতে গিয়ে রাজারে, দেখে গিয়া ভোর বেলাতে নফরে —না কাপালিক, VÖstbe