পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অণধার কোট কাচমহল, খাসমহল, বিবিমহল, মালাঘর, তারপরে গড়বন্দী আঁধার কোটা খাজনা ঘর। মোহরার সেখানে বসে দুপুর রাতে স্থপুলিয়ার খাস তহবিলের হিসেব রাখে ঘড়া উলটে ঢেলে মোহর —এক হাতে দাড়িপাল্লা, আর এক হাতে মাল্লাদের জল-সেঁচ ডোঙার মতো চৌকোন গাম্ভার কাঠের পাত্তর । এমন মোট দেয়াল, ভারি দরোজ খাজনা-খানার যে ঝন ঝন্‌ টাকা ঢাললে শব্দ পৌছায় না বাহিরে তার । সেখানে সাবধামে ওজন করছেন রাজার প্রয়োজনের নিজ খরচ খাস-মোহরার যেন একটা বুড়ে যক্ষি পিছমের আলো পড়েছে টাক মাথার উপর ; ভিতর হতে দুয়োর বন্ধ, কোমরে ঝুলছে চাবি শিকলি তার – বাহিরের কারো উপায় নাই হঠাৎ প্রবেশ করবার। কী করে সেখানে সিদ-কাঠি, কী করে শাবল । খাজনা ঘরের পারে গন্না-কাটার মাঠ । তার একধারে খাড়া সামনা-সামনি দুটো ফঁাসিকাঠ —তাতে ঝুলছে একটা মড়। —কে জানে কোন কালে ফঁাসিতে চড়। —শুকিয়ে ফেলেছে সেটারে কত দিনের হিম-জল-রোদ । তুলছে সেটা আজ –করছে যেন বোধ — প্রাণ পেয়ে গেছে অকস্মাৎ । তারি শিয়রে রাত দুপুরের ঝড়ে পড়ছে নজরে গ্রহণে খাওয়া খানিকটা চাদ । এত বড়ে বার হয় না কুকুর শেয়াল —ফাসি-কাঠের তলে জুটেছে বেঘোরে কালো মূর্তি চার। এ ওরে বলছে –কে আছ রে জোয়ান –ভেঞ্জে আনো দেখি কবজি সইতে মরা মানুষের হাতের মুটখান । আঁধার ঘুট-ঘুট, কে উঠবি উঠ, ফঁাসি-কাষ্ঠে কে আছিল শেয়ান ! ধর গন্না-কাটা নাপিতের দাড়ি-কামান আস্তরি —কেটে ৩৬e