পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোয়ালিনী বলে, গুলবাহারি আনতে বলি না। আপনারি দেহটাকে রাত নয়টাতে ফিরে আনতে চাও বাড়ি, না হলে আজ আমারি একদিন কি তোমারি । —ওগো দেখে, দেখো রইবে রইবে কথা, তোমারে বোঝাতে হারি। তিন দিন ঠিক কথা রইল, দাদাশ্বশুরের ঘড়ি কাটায়-কাটায় নটাই কইল। তারপরে শনিবারে সকাল নয়টাতে ঘড়িয়াল দম ফেরাতে এল সাবেক কালের দাড়ানো ঘড়িটার গোয়ালপাড়ার । সেই দিন থেকে শুরু হল কথার ফের-ফার। গোয়ালিনীর ঠাকুরদাদার ঘড়ি আর থেমে থাকে ন কাটায়-কাটায় রাত নয়টাতে । ফিরে ফিরে রোজ সেই বুলি –চেয়ে দেখোতে, চোখ খুলি ঘড়িতে কত রাত ? জ্ঞান আছে তো কোনটা কোন হাত ? গোবিন্দ ঘোষের নাতজামাই দেখে বড়ো কাটাটা বারোটাকে ছাড়ায় নাই ; ছোটো কাটাটা বেঁকে চুরে তিনটের ঘরে ভুল করে ঢুকেছে। নাতজামাই বলে, ও গোবিন্দের নাতনী, ঘড়িটার ভীমরতি ধরেছে, নিশ্চয় ছোটো কাটাটাকে পেত্নীতে পেয়েছে। কালই ওঝা ডেকে ঘড়িটাকে ঝাড়ানো চাই । তাতেও না সারলে ওটাকে কালকে উচিত বউ-বাজারে বেচে ফেলাই – ঘড়িটা ঘোড়া হয়ে গেছে দেখতে পাই । কী ! এত বড়ো কথা ! গোবিন্দ ঘোষের ঘড়ি ঘোড়া হয়ে গেছে — তারপরে পেত্নী চেপে আছে । দেখবে কারে বলে ওঝার বftটা । তোল তো আর একবার বেচবার কথা দেখবে ছোটো কাটা ধরে কোন গাছে ! —আরে তুলতেই হয় যদি, ঘাড়ে তুলে চুলোর জালে পুড়ায়ে আসব ঘর-কুঁছলে ঘড়ির ঘাড় ভেঙে। হনুমান থাম ভেঙে হয়েছিল মৃত্যুবাণ –এর আর কী কথা আছে। —আমারে দেখালি মৃত্যুবাণ—ভালে, কাল থেকে দেখি কে সাজে তোর পান। কে ভাজে গরম লুচি। లిఖిసి