পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোচমান অশথতলায় ঘোড়া খুলে দেয়, গাড়ি দাড়িয়ে থাকে রোদে, ঘোড় চরে খায় ঘাস পাতা যা পায়, ছোট্টো কোচমান ছুটি পেয়ে খাটিয়ায় পড়ে ঘুমোয় ; এমনি প্রতি শনিবার দেখি। একদিন দেখি সোর গোল পড়ে গেছে। বাড়ির যত সহিস কোচমান দরোয়ান চেঁচাচ্ছে এ ক্যা তাজব ঘোড়া কাহা গিয়া ? ঘোড়া না পেয়ে কাদতে লেগেছে ছোটো গাড়ির ছোটো কোচমান । দৌড়লেম দেখতে ! রৈ রৈ পড়ে গেছে। এবাড়ি ওবাড়ি সবাই খুজিছে ঘোড়া – ঘোড়া একদম ডিসাপিয়ার। কেউ বলে বাবা এ সাগর রাজার ঘোড়া ইন্দর রাজা চুরি করলে নাকি। কেউ বলে, আরে একী হয় দেখনা ছাগল হয়ে চরছে ; আরে না না দেখ–ঐ বাগানের বাধা নহরে জল খেতে গিয়েছিল, পড়ে ভেসে গেছে গঙ্গামুখে । আর একজন বলে, ওরে দেখ চিলে খরগোস ভেবে তেঁতুল গাছে তুলে নেয়নি তো ! অনেক খোজাখুজি আকাশ পাতাল ভাবা চিন্তা করা চুকতে "রোদ পড়ে এল-হঠাৎ সেই সময় ঘোড়ার লাথালাথি। চিহি চিহি,শব্দ শুনে খেলা ছেড়ে গিয়ে দেখি বাগানের মধ্যে একটা ভাঙা ইষ্টিমারের বয়েলার, তার মধ্যে থেকে একটা ঘোড়ার ল্যেজ ধরে টেনে বার করলে ছোটো কোচমান— আর একটা ঘোড়া পিছু হেঁটে এ্যপিয়ার হল ওইভাবে বয়েলার ছেড়ে । ঘোড়া ফুটে কত বড়ো ছিল দাদামশায় ? —বয়েলারের চোঙার ব্যাসটা যত বড়ো তার চেয়ে কিছু ছোটো ছিল সেটা ঠিক ! —তাই একেবারে বগীচাসাই হয়ে গেল না, ডিসাপিয়ার হয়ে খানিক বাদে আবার এ্যাপিয়ার হল । —বগীচাসাই কথার মানে কী বলতে পার দাদামশায়— ঐতো বলেছি— যেমনি বগীচাসাই অমনি আর দেখা নাই, ইংরিজীতে ওর মানে হয় না, বাংলাতে উর্দুতে সম্যক্ততে পালিতে উড়িয়াতে ওর জোড়া কথা আছে কি না ! 8ミや