পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अन्नं দাদামশায়ের বুঝি যত চাকরবাকর সহিস কোচম্যানের সঙ্গে আলাপ | —আরে ভাই তারা কী তোমার আজকালের পিলে-গোবিন্দ না যেদে মেথর –হেঁজি-পেজি লোক ছিলনা তারা, সব তারা কেতাদোরস্ত মানুষ ছিল। সভ্যভব্য দুটো ভদ্রলোক এলে তাদের খাতির করে তুষ্ট করে দিতে পারত, তাইতো তাদের ঘরখানার নাম ছিল তোষাখানা। এখনকার বাবুদের বৈঠকখানাও তেমন ফিট্‌ফাট নয়। ছম্শের কোচম্যান যখন সেজেগুজে গোঁফ চুমড়ে, বৈকালে শাস্তাবোলেব ছাতে খাটিয়াতে বসে গড়গড়া টানত, তখন যেন বোধ হত টিপু সাহেব ছবি ছেড়ে বেরিয়েছে! আরবী ঘোড়াতে আর গাধাতে যতটা তফাৎ, তখনকার চাকরে এখনকার চাকরে ততটা তফাৎ । মোহনলালসিং জমাদার, কী চেহারা কী, দাড়ি গোফই ছিল তার ! শ্বেতচামর রনজিৎসিংহ মিলিয়ে একটা ব্যাপার। দাড়ি মাজতো। রোজ সে একপোয়া দই আর কেশর ফুলের গুড়ো মিলিয়ে ; দেউড়ির রাজা বললেও হয়! বুদ্ধ হরকর, বিশ্বেশ্বর হু কোবরদার, মজলিসী চেহারা সাজ-গোজ এমন যে দখলে ইচ্ছে হত হরকরা হই নয় তামাক খাই গের্দ। ঠেসান দিয়ে। বিশ্বেশ্বর কী তামাকই সাজত। গন্ধে তর হত বাড়ি। ভিণ্ডি খানার একটা লম্বা টেবিলে সকাল থেকে সারি সারি ধরা থাকত সটুকা—ছহাত নল ছাড়া যা টানাই যেত না, গুড়গুড়ি —সান্ত্রী খাড়া বন্দুকের নল উচিয়ে, গড়গড় –যেন গদীয়ান মহাজন গতানে ভুড়ি, বাধাহুকো—পিলেরোগী লম্বা-গলা কালোকোলে পাড়াগেয়ে জমিদারটি। তার পরে কল কি ধুমুচী ! যে যেমন দরের মানুষ তার জন্যে তেমন দরের তামাক সাজতো বিশ্বেশ্বর । 893