• কেন সে কুঁকড়ো করে বলে তো ? তার কঁাসির মতো গলা শুনলেই সেই শেষ রাতের কথাই যে মনে আসে।” "ঠিক, ঠিক, সত্যি, সত্যি।’ সব পেচাই বলে উঠল । দিনের কথা মনে করতেও তাদের বিষম কষ্ট হচ্ছিল । হতুম বললে, রাত যখন পোহাবার দিকেই যায় নি, তখন পাঞ্জি * কুঁকড়োটা গান শুরু করে..." সবাই অমনি বলে উঠল, ‘ডাকু হ্যায়। চোট্ট হ্যায়। হুতুম আবার বললে, বাকি রাতটুকু সে একেবারে কঁাচা-ঘুম ভাঙিয়ে মাটি করে দেয়। চারি দিক থেকে অমনি চেঁচানি উঠল, ‘মাটি। মাটি । একেবারে মাটি। নেহাত মাটি । তার পর একে একে সবাই আপনার আপনার দুঃখু জানাতে লাগল। ধুধুল বললে, খরগোশের গর্তর কাছে খানিক বসতে না বসতে কুঁকড়োটা ডাক দেয় আর অমনি আমায় সরতে হয়। কাল পেচা বললে, ‘পেটের খিদে ভালো করে মেটাবার জো নেই সেটার জ্বালায়। কেউ বললে, ‘ৰ্তার সাড়া কানে এলেই আর মাথা ঠিক রাখতে পারি নে, এটা করতে ওটা করে ফেলি। খুন করতে হয় মশাই তাড়াতাড়ি যেন আমারি দায় পড়েছে। জখমগুলোও যে একটু শক্ত করে বসাব তার সময় পাই নে মশায়। যতটুকু মাংস দরকার তার বেশি একটু কি সংগ্রহ করবার জো আছে ওটার জালায় । ওর গলাটা শুনলেই দেখি যেন অন্ধকার দেখতে-দেখতে ফিকে হচ্ছে, আর আমি ভয়ে একেবারে কেঁচো হয়ে যাই ।” চড়াই শুনে শুনে বললে, ”আচ্ছা সব দোষ কি কুঁকড়োর । এপাড়া ও-পাড়ায় আরো তো অনেক মোরগ আছে যারা ডেকে থাকে ৷” হুতুম বললে, তাদের গানকে আমরা ভয় করি নে। ওই কুঁকড়োর ডাকটাই যত নষ্টের গোড়, সেইটেই বন্ধ করা চাই।' সবাই অমনি চেচিয়ে উঠল, বন্ধ হোক। চাই বন্ধ করা চাই।’ আর ডানা বাজাতে লাগল। গোলমাল একটু থামলে গো-পেঁচ ૭ઝ
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।