বললে, তা যাই বল, চড়াই আমাদের জন্তে অনেক করেছেন।” চড়াই ভয় পেয়ে বললে, ‘কী, কী, আমি আবার বললেম কী, ও আবার কেমন কথা ? খুদে পেচা বললে, কুঁকুড়োর নিন্দ্রে রটিয়ে তাঁর নকল দেখিয়ে তামাশ করে। অমনি দেউলে, দালানে, গুড়গুড়ে, গোয়ালে, গেছে, জংলা পাহাড়ে সব পেচা হাসতে লাগল, ‘হুঃ হুঃ, ঠিক ঠিক, বা বাং, ঠিক ঠিক, হু হু হু হু, হু-উ-উ, খুব. ঠিক খুব ঠিক ? হুতুম রোয় ফুলিয়ে পাখী ঝাপটালে, বস্-স্ব-স। অমনি সব চুপ হয়ে গেল। চিলে পেচা গল কঁাপিয়ে চি চি করে বললে, “তার নিন্দেই রটাও আর নকলই দেখাও সে তো তাতে থোড়াই ডরায় । বেপরোয়া সে গান গেয়ে চলে, আর বেকার আমরা কেঁপেই মরি। এই দেখো-না সাজগোজ হীরে-জহরতের দিক দিয়ে দেখলে ময়ূরের সামনে কুঁকড়োটা দাড়াতেই পাবে না, কিন্তু তবু তার গান, সে তো এখনো আমাদের জালাতে ছাড়ছে না। সব পেচা বিকট চিৎকার করতে থাকল, ‘ধরে কুঁকড়োকে । মারো কুঁকড়োকে, ধুমাধুম ধুমাধুম ? 象 হুতুম চটপট ডান ঝেড়ে খাড়া হয়ে দাড়িয়ে সবাইকে বললে, থামো থামো শোনো শোনো, এ্যটেন-সা-ন অ-ব-ধা-ন ? আমনি সব পেচা ডানা ছড়িয়ে গোল চোখগুলো পাকিয়ে স্থির হয়ে বসল, এমনি গম্ভীর হয়ে যে, রাতটাও মনে হতে লাগল যেন কত বড়ে, কত-না গভীর। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে থেকে লক্ষ্মী পেচা আস্তে আস্তে বললে, ‘তাকে মারা তো হয় না। যে সময়ে সে ঘরের বাইরে এসে দাড়ায় সে সময় আমরা দেখতেই পাই নে, চোখে সব যে বোধ হয় ধোয়া আর ধাধ। —ধর্ণ-ধা ধ।’ বলেই লক্ষ্মী পেচা চুপ করলে, আর সব পেচা গুমরোতে থাকল । তখন পাকুড় গাছের আগডালের উপর থেকে কুটুরে পেচা মিহি আওয়াজ দিলে, “বোলুঙ্গ কুছ, সল্লা হ্যায় কুছ । হুতুম উপর দিকে চেয়ে বললে, “শুনি, তোমার মতলবট কী।’ কুটুরে সট করে নিচের లిపి
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।