পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডালে নেমে বলে জারম্ভ করলে, পাহাড়ের ওদিকটায় একটা লোক অদ্ভুত সব পাখির চিড়িয়াখানা বানিয়েছে, নানা দেশী-বিদেশী মোরগ, নানা জাতের নানা কেতার ধরা আছে । ময়ুর যিনি রাজ্যের অদ্ভূত পাখির খবর রাখেন, তিনি কুঁকড়োকে কিছুতে দেখতে পারেন না, কেননা, ময়ূরের একটিমাত্র কৈ ছুটি সুর নেই, তাও আবার কর্ণকুহর •ভেদ করা ছাড়া আর কিছু করতে পারে না । কিন্তু কুঁকড়োর ডাক, সে সোজা অন্ধকারের বুকে গিয়ে বেঁধে আর তার পর যে কাণ্ডটা ঘটে ত কারুর জানতে বাকি নেই। কাজেই ময়ূর স্থির করেছেন চিনেমুরগির কুলতলার মজলিশে তিনি এই-সব অদ্ভূত মোরগদের হাজির করবেন। ‘চিনে-মুরগির সঙ্গে আলাপ করে দিতে বুঝি ?’ ব’লেই সব পেচা হঁ্যে হঁ্যে করে হাসতে থাকল । কুটুরে বললে, “এই-সব অদ্ভূত মোরগের কাছে কি কুঁকড়ে দাড়াতে পারবে। একেবারে খাড়া দাড়িয়ে মাটি হবে ? গোয়ালে পেচা বলে উঠল, “হাজির তারা হবে কেমন করে । খাচ। না খুলে দিলে তো সেই সব খাসা মোরগদের এক পা নড়বার সাধ্যি নেই।’ কুটুরে সবাইকে আশ্বাস দিয়ে বললে, “তারও উপায় করা গেছে। যে পাহাড়ী ছোড়াটা খাচ খুলে সকালে তাদের দানাপানি খাওয়ায় সে কাল যেমন খাচা খুলবে আর আমি অমনি তার মুখে গিয়ে ডানার এক ঝাপটা দেব। নিশ্চয়ই সে র্কাদতে কঁাদতে দৌড় দেবে খাচা খোলা রেখে। পেচার বাতাস গায়ে লাগলেই অসুখ, সেটা জানে তো । তার পর সব মোরগকে নিয়ে সরে পড়ে আর কি ? চড়াই বললে, ওদিকে কুঁকড়ে বলছেন যে তিনি মজলিসে মোটেই যেতে রাজি নন।’ বেড়াল বললে, যাবে না কী । নিশ্চয়ই যাবে। দেখ নি সোনালির মুরগির্টর সঙ্গে তার কত ভাব। আমি এই লিখে দিচ্ছি সোমালিয়৷ কুঁকড়োকে মজলিশে হাজির করবেই কাল। চড়াই কুৰঙ্গে কালে বেড়ালটা সারাদিন ঘুমোয় বটে, কিন্তু কোথা কী হয় 8è