পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমনি একটা দোতলা ঘর এসে সামনে দাড়াতেই ছিরিপদ আমাকে বাড়িতে তুলে দিয়ে বললে। তোর বাসায় যা, আমি মার্কেট ঘুরে আসছি। বাড়িটা যেন উড়ে চলল ভো ভো শব্দ দিতে দিতে। তারপর এ মোড় সে মোড় ঘুরে খালধারে আমাদের দুজনকে নামিয়ে দিয়ে শেণ শে বেরিয়ে চলে গেল । শহরটা তো দেখা বস্তু —এর অমর কী বর্ণনা দেব । ছাদ বাদ খুব কিন্তু ছিরি নেই মোটেই। বাধা রোশনাই, বাধা দিঘি, বাধা রাস্ত বাধা দস্তুর, ধুলো কাদা মশা মাছি সবই। বাড়িগুলো বেশীর ভাগই মেড়ে ফ্যাশান –এক এক ফালি আকাশে উঠেছে। দোকানে চা বাধা দর। জল — মিঠে সাদা — যেমন চাই বাধা দর। বাধা বাধা বাধা লাগে ভেলকি ধাধা দেখি না ছেলেগুলো সমুদ্দর পার হতে শিখবে, তাই মাস্টার বাধা পুকুরে তাদের ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু মেঘনা পদ্মা গঙ্গা থাকতে বাধা গোলদিঘিতে চরাতে এল কেন এর ছেলেদের— ছিরিকণ্ঠ এই কথা একজনকে শুধতে সে চশমার মধ্যে দিয়ে কটমট করে তাকিয়ে বলে, একে বলে বিলাতি সুইমিঙ্ক, আর তাকে বলে পাড়াগেয়ে সাতার। ছিরিকণ্ঠ ছিল তাই রক্ষে। ছিরিপদ থাকলে মাস্টারকে দেখিয়ে দিত সাতার কাকে বলে। ছিরিকণ্ঠ খালি গেয়ে উঠল— দেখ ভাই আজব কারখানা— যেন শোলার পুতুল জলে ভাসে •ডোবালেও মন ডোবে না । হালকা ও সে এমনি ভাসে, যেন ডোবায় ধরা টোপাখানা । ও সে ভেসেই রল । 8ግ›