পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हेक्रोभन्नै बकि খাতাঞ্চিখানার পুরোনে চাকর সোনাতন বদলি দিয়ে গেছে তে। গেছেই । ঠাকুরবাড়ির পোষাপাখিকে কৃষ্ণনাম পড়াতে ভর্তি হয়েছে পিলে-গোবিন্দ, আর খাতাঞ্চিমশায়ের বালিশের খোল হকে কলকির খবরদারিতে এসে গেছে আর-একটা লাল গামছা কাধে উলকি-পরা দামুেদের পিতল গোসায়ের আখড়া থেকে গাজার কলকি আর ছুচোর কেতনে ফাস্ট ক্লাস পাস হয়ে । আমি আর অবিন ঘরে ঢুকতেই খাতাঞ্চিমশায় হাক দিলেন –‘অনাটন অনাটন । তারপর আমাদের বসতে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘এই যে এসে গেছ, কাশী যাওয়াই ঠিক তো ' অবিন চায় আমার মুখে, আমি চাই অবিনের দিকে। দুজনেই এক সঙ্গে ঘাড় নাড়লেম মাদ্রাজীতে—হঁ্যা কি না বুঝতে দিলেম না। খাতাঞ্চিমশায় কলকি-শূন্ত গড়গড়ায় তিনটান দিয়ে বললেন – ‘ফদখান ? বাক্স বালিশ উলটে ফৰ্দ মেলে না। এই ফঁাকে অবিন দেখি সরে পড়ল ৷ তক্তপোশের তলায় পাটাতন-বন্ধ দেরাজ থেকে চালের কাছে মাটির লক্ষ্মী প্যাচার কুলুঙ্গিতে চড়াই পাখির বাসাটা পর্যন্ত খোজাখুজি করে যখন ফর্দ পাওয়া গেল না তখন খাতাঞ্চিমশায় গুম হয়ে দুই ভুরু কুঁচকে হাতকাট ফতুয়ার বন্ধক দিয়ে দড়িবাধা ভাঙা-ডাটি চশমার পরকলাফুটে জোরে জোরে ঘষতে থাকলেন। তারপর দুধার চোখ পিট-পিট করে –“ইচ্ছাময়ী তোমারই ইচ্ছে”—বলে একটা নিশ্বাস ছেড়ে গড়গড়া টেনেই চললেন —ধুয়া বার হয় না সে খেয়াল নেই। সোনাতন থাকলে ফর্দ নিয়ে আজ ধুন্ধুমার বেধে যেত। কিন্তু আজকাল নতুন চাকর-বাকর আসা অবধি খাতাঞ্চিমশায় কেমন যেন দমে পড়েছেন। ‘সর্বদা আনমন উদাস ভাব, যেন কোনো কিছুতে ইচ্ছে নেই। "ফাট গেল—যাকগে, বলেই হাই তুললেন–যেন একটা ৰোড়া সাপ মুখ ব্যাদান করে একটা খাবি খেলে। সেই ولا يو 8