সোনালিয়া অবাক হল । চড়াইটার রকম, দেখে সে রেগে বললে, 'কুথার জবাব দাও-না। কী: ’ বলেই চড়াই ফিরে দাঁড়াল । সোনালি শুধলে, ‘ঘোটের খবর জানতে চাচ্ছি।’ চড়াই ধীরে সুস্থে উত্তর করলে, ঘোটটা খুব চলেছিল, সব দিকেই ভালো ? o সোনালি চড়াই-এর হেঁয়ালির অর্থ বুঝলে না ; সে পরিষ্কার জবাব চাইলে । চড়াই বললে, ‘অন্ধকার বেশ ঘুটঘুটে আর পেচাগুলোও বেশ মোটা-সোট দেখলেম ।’ তারা তাকে মারবার যুক্তি করলে ? সোনালি শোধালে। না, মারবার নয়, তাকে পরলোকে পাঠাবার যুক্তি।’ বলে চড়াই সোনালিকে আশ্বাস দিয়ে বললে, ‘তবু কতকটা রক্ষুে, কী বলো ’ সোনালি কী বলতে যাচ্ছিল, চড়াই বললে, ‘ভাবছ কেন, শেষ দাড়াবে যা তা ফক্কাঃ, বুঝলে।’ সোনালি ভয়ে ভয়ে বললে, ‘যাই বল কিন্তু পেচারা তো সহজ পাখি নয়।’ চড়াই হেসে বললে, কিন্তু তাদের যুক্তিটা মোটেই ভয়ানক নয়। আরো অনেক যুক্তি তারা এটেছে আঁটবেও। পেচাগুলো যদি সহজ পাখি হত তবে ঘুট না করে খাবার ঘুটেই তার বেড়াত। কিন্তু তাদের ভুরু চোখের উপরে, নিচে, আশেপাশে, আর চোখগুলো দেখেছ তো ? মনে হয় যেন পাহারোলার লণ্ঠন, খোলে৷ আর বন্ধ করে । আর ঠোট তো দেখেছ ?’ বলেই চড়াই ছিঃছি: ' বলে ডানা ঝাড় দিয়ে বললে, ‘তুমি কিছু ভেবে না সোনালি । সব ঠিক হবে, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করা চাই, বুঝলে কিনা ? সোনালি চড়াই-এর হেঁয়ালি বড়ো একটা বুঝলে না কিন্তু কুঁকড়োর পুরোনো বন্ধু হয়ে চড়াই এখনো যখন হাসিতামাশা করছে তখন ভয়ের কারণ খুবই কম এটা তার মনে হল। কিন্তু তবু কী জানি, কুঁকড়োকে সব কথা জানামে ভালো।’ বলে সোনালি গোলাবাড়ির দিকে যাবে, চড়াই তাকে তাড়াতাড়ি পথ আগলে বললে, অমন কাজটি কোরো না, যদি-বা কুঁকড়ো সেখানে ন৷ 8○
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।