যান, এই ঘোটের কৃথা শুনলে নিশ্চয়ই যাবেন, আর তা হলে লড়াই বাধবেই।’ সোমালি চড়ায়ের কথা রাখলে। চড়াই যখন তার পুরোনে বন্ধু, তখন তারি পরামর্শমতে কাজ করাই ঠিক। সোনালি যাচ্ছিল, ফিরে এল । ওদিক থেকে শব্দ এল, গা তো ল।’ চড়াই আর সোনালি ফিরে-দেখলে কুঁকড়ো আসছেন। কুঁকড়ে হাক দিলেন, ‘কে-উ-ন হ্যায় ? সোনালি মিহিমুরে উত্তর দিলে, ‘সো-না-লি-য়া, কুঁকড়ে শোধালেন, ওখানে আর কেউ আছে কি ? সোনালি চড়াইকে চোখ টিপে বললে, না মশাই।’ ঘোটের কথা কুঁকড়োকে যেন বলা না হয় সোনালিকে সে বিষয়ে সাবধান করে দিয়ে, চড়াই আস্তে আস্তে বাবল গাছের তলায় একটা খালি ফুলের টবের আড়ালে গিয়ে লুকোল। & কুঁকড়ে নিজে যেমন, তেমনি কাউকে ভোরে উঠতে দেখলে ভারি খুশি । সোনালিয়াকে দেখে বললেন, বা, তুমি তো খুব সকালে উঠেছ। বেশ, বেশ। কিন্তু সোনালিয়া চিনে-মুরগির চাপার্টিতে যাবার জন্যেই খালি আজ এত সকালে বিছেন ছেড়ে বেরিয়েছে শুনে কুঁকড়ো ভারি দমে গেলেন। কুঁকড়ো পষ্ট বললেন, তিনি ওই চিনে-মুরগিটাকে ছচক্ষে দেখতে পারেন না। কিন্তু সোমালিয়া ছাড়বার নয়, সে তবু কুঁকড়োকে চিনে-মুরগির মজলিশে যেতে পেড়াপিড়ি করে বললে, “দেখি তুমি আমার কথা রাখ कि बों !' 纖 কুঁকড়ে। তবু যেতে রাজি নয়, তখন সোনালিয়া অভিমান করে বললে, “স্তৰে আমি এখনি বাড়ি চলে যাই।” কুঁকড়ে তাড়াতাড়ি "বঙ্গে ফেললেন, না সোনালি, এখনি যেয়ে না।’ সোনালি অমনি 88
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।