পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগতে এ বিদ্যে অতি কম লোকেই পায়। কুস্তম্ভনিয়ার এক সদাগর পেয়েছিল –সে গরু, গাধা, কুঁকড়ো আর কুকুর এই চার জানোয়ারের কথা বুঝত এবং বুঝত বলেই তার প্রাণরক্ষে হয়েছিল—তার আপন জরুর হাত থেকে আর-একজন ফরাসী পণ্ডিতের শকুন-বিদ্যে আছে, তার নামটি ভুলেছি। এদেশে এক অবনীবাবুতে আর তোমাতে এই বিদ্যে অশেছে দেখছি। খবরদার, তুমি জানলে, আমি জানলেম –এ বিদ্যের কথা আর কাউকে জানতে দিও না –তোমার বিয়ে হয়নি তো ?’ —‘আজ্ঞে হয়েছে, অল্পদিন হল ।' —“বোঁকে বলোনি তো এ বিদ্যের কথা ? —‘আমি নিজেই জানতেম না তো তাকে বলব!’ —চেপে যেও, চেপে যেও কথাটা, নচেৎ সেই কুন্তুস্তনিয়ার সদাগরের মতো ভোগ ভুগবে।’ —‘আজ্ঞে আমার বে। যে টিয়ে চন্ননা ময়নার কথা বোঝে আমারই মতো।” —‘আরে সে পড়া বুলি, শেখানে কথা সবাই বোঝে। এ হলু স্বতন্ত্র, এক অদ্ভূত ক্ষমতার লক্ষণ ! একালে এদেশে কোনো শৰ্মারই নেই এ বিদ্যে ? খুদিরাম প্রশ্ন করলে-রবিবাবুর ? —‘ওগো, রবিবাবু তে রবিবাবু, তার ইস্কুল-মাস্টার জগদানন্দবাবু আমার ছিলেন বিশেষ পরিচিত – পোক-মাকড়ের কথা পশুপক্ষীর কথা প্রভৃতি বইও ছাপিয়ে গেছেন, তাতেও বিদ্যের স্ফর্তি দেখিনি ' —‘মহাত্মা গান্ধী ? বলেই খুদিরাম খাতাঞ্চিমশায়কে ছকে এগিয়ে দিলে । 球 —ধান ভানতে শিবের গীত ’ বলেই খাতাঞ্চি ছকে মুখে করলেন । খুদিরাম মুচিবাড়ির দিকে চেয়ে বললে –‘সত্যিই কর্তার কথায় ভয়ে আমার পেট কামড়িয়ে এসেছিল, যেন শুকুনি ঠোকর দিচ্ছে।” { o:ు