স্থযোগ বুঝে বললে, তবে বাবে বলে চিনি-দিদির বাড়িতে। কুঁকড়ে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, "াচ্ছ তাই, আমিও যাব।' কথাটা বলেই কুঁকড়ে মনে মনে নিজের উপর খুব চটলেন, মেয়ের যা আবদার করবে, তাই কি মানতে হবে। সোনালি কুঁকড়োর ভাব বুঝে মনে মনে হাসতে লাগল। কুঁকড়োকে চিনি-দিদির বাড়িতে নিয়ে যেতে সে খুব ব্যস্ত ছিল না - সে কুঁকড়োর কাছ ঘেষে বললে, তোমার সেই মস্তরের কথাটি’ বলে না, শুনিই-ই— ।” কুঁকড়ে একটু গম্ভীর হলেন, সোনালি বললে, 'বলো-না, বলেবলো, বলো-না।’ কুঁকড়ে এবারে গদগদম্বরে ‘সোনালি আমার মনের কথাটি বলে আবার চুপ করলেন। সোনালি বলে চলল, বনের মধ্যে বসন্তকালেব চাদনিতে সাবারাত কাটিয়ে একলাটি আমি বনের ধারে এসে দাড়িয়েছি, সকালের আলো আকাশে ঝিলিক দিয়ে উঠল, আর অমনি শুনলেম, তোমার ডাক দূৰ থেকে আসছে, যেন দূরে কার বাশি বাজছে ? —বনের রানী সোনালিয়া পাখি সকালের সোনার আলোতে একলাটি দাড়িয়ে কান পেতে র্তার গান শুনছে একমনে, এ খবব পেয়ে কোন গুণীর না মনটা নরম হয়। কুঁকড়ে ঘাড় হেলিয়ে ভাবতে লাগলেন, ‘বলি কি না বলি।’ সোনালিয়া মিঠে স্বরে আরম্ভ কবলে রূপকথা, ‘এক যে ছিল কুঁৰ ড্রা আর যে ছিল বনের টিয়া।’ কুঁকড়ো ভুল ধরলেন, হল না তো হল না তো ' তার পর নিজেই রূপকথার খেই ধরলেন, কুঁকড়োব পিয়া ছিল সোনালিয়া, বনবাসিনী বনের টিয়া।’ সোনালিয়া বলে উঠল, ‘কুঁকড়ে টিয়াকে কখনো বললে না রূপকথার নিতিটুকু, বলতেই কুঁকড়ে সোনালিয়ার কাছে এসে বললেন, জানে, সে কথাটা কী ? যেটা বনের টিয়েকে কুঁকড়ে বলতে সময় পেলে না ? কথাটা হচ্ছে, তোমার সোনার আঁচল বসন্তের বার্তা, দিয়ে গেল সোনালিয়া বনের টিয়া।’ সোনালি গম্ভীর হয়ে বললে, কী বকছেন আপনি । রূপকথ। $6.
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।