পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরব পশ্চিম কোথা বা যাই, উত্তর দক্ষিণ চেনারও জো নাই! চলছে তো চলেইছে হেতি হোতি দুই রাখাল পাচনি হাতে চরের পর দে –চলতে চলতে ভুলে গেছে তারা –কোথা থেকে এসেছে, কোথায় বা ছিল –তিনশো বত্রিশখানি পাতা চাপা লাল কালো স্থটি জীব-জীব পোক যেন । শুধু মনে আছে ভবের হাটে ঘোল খেতে চলেছে । তখন রোদ সরে-সরে, আবার দেখা যায় ওপার-চরে। এমন সময় ত্রিসত্য বাবাজী দেখা দিলেন। এক হাতে লাঠি, এক হাতে লণ্ঠন, আগে আগে ত্রেতাযুগের তেরঙা একটি গাভী, ভার ট্যারাব্যাক শিং, ট্যারচ দুটো চোখ, চ্যাপটা কপালে আর-একটা চোখের মতে টিপ। গাভীটার তিনটে পা ভাল, একটা পা খোড়া ; টঙস টঙস করে ঘণ্ট। বাজাতে বাজাতে আসছে, তিন পা চলছে আবার এক পা দাড়িয়ে হঁপি নিচ্ছে । 峰 ত্রিসত্য বাবাজী হেতি হোতিকে দেখে বললেন –‘বাপধনেরা, ঘুরতে-ফিরতে কোথায় যাওয়া হচ্ছে ? হেতি হোতি বললে –‘যেতেচি ঘোল খেতে ভবের হাটে, পথ তো দেখতেছি অফুর। ভবের হাটে কে জানে কদুর ত্রিসত্য বাবাজী বললেন –‘ভবের হাট তো আর একটুখানি নয়, কত কাগার হাট, বগার হাট, বাগের হাট, মগরা হাট, মুরগি হাট, চিংড়ি হাট, মেছে হাট-এমনি হাট –বেহাট নিয়ে বিরাট একটি ব্যাপারকে কয় –ভবের হাট । শুধাও এই গাভীটারে যদি বিশ্বাস না হয়। আমার এই গরুটি তোমাদের দিলেম । এর সঙ্গে সঙ্গে চলে . যাও চক্ষু বুজে। ভাবের হাটে কোন দিকে কী এই গুরু সব চেনে। —‘সইত্য-সইত্য-সইত্য, ভবে: হাটে সইত্য পথ দেখাবার এই গরুই হলেন গুরু অদ্বৈত' –বলেই ত্রিসত্য বাবাজী গায়েব। রোদটা এতক্ষণ মাঠে ওৎ পেতে বসে ছিল, চটু করে বাবাজীকে ৫২৩