পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারাও ধরে উৎকট রব। ভয় জানায়, ক্ষুধা জানায়, পেট চাপড়ায়। আর হী করে বিকট । প্রজাপতিকে ডেকে বলে— ‘স্কুংখাম-রক্ষাম-ভক্ষাম ক-খাম কিং কুৰ্ম, হুম্ প্রজাপতি-সম্প্রজায়তি কিংখাম-কংখাম ? বৃহদাকার কদাকার সব পুরাকালের জীব-জন্তু, এক-একটা হাত-পা ওয়ালা বগ-যন্ত্র ; গ্রামোফোনের চোঙা পরানো বড়ে বড়ো ঢাকাই জালা থেকে কারুর গলা বেরোচ্ছে চে-র্চে —এ-এ আওয়াজে । প্রজাপতির কর্ণ বধির । তিনি যত বলেন –‘খাম’ ‘খাম’, ওরা মোটা মোটা থামের মতো হাত পা নেড়ে বলে –‘খামখাম । ক-খাম, ক্ষুংখাম । কিংখাম —কংখাম ? কেউ গরাস গরাস কাদাই খাচ্ছে। কেউ ক্ষুধার জ্বালায় হাসফাস বাতাস খেয়ে দ্বিগুণ ফুলোচ্ছে পেট । ফুলো ফাপা রবারের বেলুনের মতো এমন পাতলা চামড়া তাদের গায়ে যে, পেটের মধ্যে পাকস্থলীতে যে আগুন জ্বলছে, পেটের হাড়ের তলায় তা পর্যন্ত . দেখা যাচ্ছে পরিষ্কার। কাউকে আর বলে বোঝাতে হয় না যে তাদের – ‘জঠর জ্বলিছে আল্লাভাবে, চিন্তানলে পুড়িছে মাথার লি, মুখে বার হচ্ছে বার বার ‘রক্ষাম’ আর ‘ভক্ষাম বুলি ? খাবার ইচ্ছ—চরবার বাঞ্ছা যখন খুব জাগল জীবদের তখন ইচ্ছা-বাঞ্ছার বীজ ছড়িয়ে দিয়ে প্রজাপতি হেতি হোতিকে বললেন— ‘তোম। দোহাকারে, গো শ্বাই দিলাম কার্যভার, সবার প্রধান হয়ে পালহু সংসার। (#8)