কৰে তাদের ছায়ার পরশ বুকের উপর বুলিয়ে নিতে আলোয়। গীতে গাছের উপরের ফল আর গাছের তলায় গোল গোল জুড়িগুলি পর্যন্ত আলো তাপ চেয়ে কাদছে, শুনি। বনে বনে সূর্যের আলোক কে না চাচ্ছে বেঁচে উঠতে জেগে উঠতে, কে না আলোর জন্তে সার। রাত কাদছে। এই জগৎমৃদ্ধ সবার কায় আলোর প্রার্থনা এক হয়ে নে, বুক আমার বেড়ে যায়, সেখানে প্রকাও আলোর বাজনা বাজছে শুনি, আমার দুই পাজর কঁাপিয়ে তার পর আমার গান ফোটে, ‘অ-লো-র ফুল। আর তাই শুনে পুবের আকাশ গোলাপি কুঁড়িতে ভরে উঠতে থাকে, কাকসন্ধ্যার কা কা শব্দ নিয়ে রাত্রি আমার গানের সুর চেপে দিতে চায়, কিন্তু আমি গেয়ে চলি, আকাশে কাগডিমে রঙ লাগে তবু আমি গেয়ে চলি আলোর ফুল, তার পর হঠাৎ চমকে দেখি আমার বুক স্বরের রঙে রাঙা হয়ে গেছে আর আকাশে আলোর জবাফুলটি ফুটিয়ে তুলেছি আমি পাহাড়তলির কুঁকড়ে।
- সোনালি অবাক হয়ে বললে, “এই বুঝি তোমার মস্তর।’
ই, সোনালি, মন্তরটা আর কিছু নয়, আমি না থাকলে পুব আকাশে সব আলো, ঘুমিয়ে থাকত এই বিশ্বাসটা আমি করতে পেরেছি এইটুকুই আমার ক্ষমতা, তা একে মস্তরই বলে বা তন্তরই বলো, বলে কুঁকড়ে এমনি ঘাড় উচু করে বুক ফুলিয়ে দাড়ালেন যে মনে হল যেন তিনি বলছেন –‘ঘাড় হেঁট হয় এমন কাজ আমি করি নে, আমি নিজের গুণগান করে বেড়াই নে, আমি আলোর জয়-জয়-কারই দিই, আমি জোরে গাই নিজের গলার রেশ নিজে শোনবার জন্তে নয়, আমি জোরে গাই আলোতে সব পরিষ্কার হয়ে ফুটবে বলে। কুঁকুড়ে যতক্ষণ বলে চলেছিলেন ততক্ষণ সোনালি সৰস্থলে তার কৰাই শুনছিল, এখন কুঁকড়ে চুপ করতে তার চটক ভেঙে গেল, কুঁকড়োর, কথার তার অবিশ্বাস হল ; সে বলে উঠল, একী পাগলের কথা ! ভূমি, ভূমি ফুটিয়ে দাও আকাশে...’ g*