পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শালগাছের তলায় একটুকরো বল্কল, তাতে লেখা দেখলেন মুনি – রে বল্কল, মনের কলকজা হল শিথিল, অনিবার কত আর লাগাই খিল্‌ ! এমন সময় ঝিলের জলে টুপ করে একটি টিল পড়তেই চালসেধরা চোখ ফিরিয়ে গৰ্গমুনি দেখলেন পাচরঙা গোটাকতক প্রজাপতি যেন উড়ে পালাল। বিশ্বামিত্র বললেন —“চল তো, ও পারটা দেখে আসি।” ওপারে গিয়ে আশ্রমের অবস্থা দেখে বিশ্বামিত্রের নিঃশ্বাস রুদ্ধপ্রায়, গর্গের চক্ষস্থির – হত শ্রী আশ্রম দেখেন বিদ্যমান ছিন্ন ভিন্ন পত্রাকীর্ণ সকল পুণ্যস্থান । বিশ্বামিত্র রাজা ছিলেন । হলেন রাজর্ষি, তাতেও হল না – ব্রহ্মর্ষি হয়ে তবে ছেড়েছেন। কিন্তু রাগটুকু পুরোপুরি শরীরে এখনো বর্তমান । ক্রোধে কম্পমান হয়ে গর্গের দিকে চাইতেই তিনি বললেন –‘বলেই ছিলেম তো, উপদেবতা ' যে শিষ্যটি জলে ঢিল ফেলেছিল সে বলে উঠল –‘আজ্ঞে, হরিশ্চন্দ্র রাজা ও দিকের বনে মৃগয়াতে এসেছেন । তাড়া খেয়ে যত হরিণ আর পাখিরা এসে ঢুকেছে ঠেলে এই বনে । ঢিল ফেলে কত তাড়াই – বনের হরিণ রাতে রাতে আসে যায়, ডাল ভাঙে পাতা হে ভূ ফুলফল পেড়ে খায় পাখি কটা পক্ষিণীদের করে ডাকাডাকি, জাল দড়া নাই –-কতবা ঠেকায়ে রাখি ? Qs)"