দুই ঋষিতে বিবাদ বাধল শবলার গোহালের কাছে। বশিষ্ঠ কোমরে পৈতে জড়িয়ে বললেন —“তবে রে। বড় দৰ্প হয়েছে। আশ্রমে এসে উৎপাত। দেখাচ্ছি, শবলে, এদের দূর করে দাও তো মা ? বলতেই শবলা হাম্বারব করতেই লক্ষ লক্ষ তালপাতার সেপাই ঢাল-তলোয়ার খেলতে খেলতে বেরিয়ে এল । আর একবার হাম্বারব—সোলার ঘোড়ার পাকাটির লাঠি হাতে কোটি অশ্বারোহী বিশ্বামিত্রের পথ আগলালো। যুদ্ধ লাগলো —ঝমা ঝম্ ঘোড়ায় ঘোড়ায় যুঝে পায় পায় পদাতিকে পদাতিকে তালপাতার সেফাই ঢাল-তরবার চালায় পাকাটির হুড়ায় কে কোথা পালায় ফিরে চায় না কোনো দিকে । বিশ্বামিত্রের শিষ্যেরা আগেই ঘোড়া থেকে গড়িয়ে খানাখন্দ ভেঙে দৌড় মেরেছিল। বিশ্বামিত্র ‘ফিরে আয় ফিরে আয়' বলতে বলতে নিমেষে অন্তর্ধান, ফৌজ অযোধ্যার দিকে বশিষ্ঠ দাণ্ড উচিয়ে বললেন –বলং বলং ব্রহ্ম বলং। বিশ্বামিত্র আর কথা নয় –‘ধিক বলং ক্ষত্র বলং’ বলতে বলতে গৰ্গমুনির হাত ধরে প্রস্থান শিবের কাশীর দিকে। আকাশে ছন্দুভি বেজে চলল –‘ধিক বলং ক্ষত্র বলং বলং বলং ব্রহ্ম বলং ? বেণীঘাটে অযোধ্যার রাজাদের মঠবাড়ি —ফুল বাগান ঘেরা। অনেক রাতে বিশ্বামিত্র সেখানে এসে ঢুকলেন । গৰ্গমুনি আছেন, সঙ্গে শিষ্যরা তলপি-তলপা বহে। বিশ্বামিত্র স্থির হয়ে বসে গর্গকে বললেন – মুখ যত শিষ্যের পরে দিয়া, রাজ্যভার অর্থনাশ মনস্তাপ হইল আমার ' や〉8
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikisource/bn/thumb/6/6d/%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80_%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1.djvu/page626-1024px-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80_%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1.djvu.jpg)