পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঝিম্ ঝিম্ ঝিম টিম টিম টিম চিন চিন চিন রোদ পড়ে তাল পাতার সেফাই খেলে ঢাল তলোয়ার ত্রিং ত্রিং ত্রিং ! বাজনার সঙ্গে সঙ্গেই কহবতী প্রবেশ করেই কথারম্ভ করে দিলে —সত্য ত্রেতা দ্বাপর কলি ! অমনি তার যুগ ভীষণ মূর্তিতে এসে খাড়। কী বলব সত্য যুগ সে এক ঠিক সত্যমূর্তি। হাতে হোমকুণ্ডু জালাবার হাপর, ঘি ঢালবার হাত, গলায় কুশের পৈতে, পিঠে হরিণের ছানার গা থেকে ছিডে নেওয়া নরম-নরম ছাল, কোমর থেকে ঝুলছে ছোটো একটা আস্ত চামড়ার মোশোক —তাতে খাবার জল ভরা, দাড়ি গোফ জটাজুট । ত্রেতা যুগে এলেন সপ্তকাল এক সবুজ মানুষ হরধনুতে টঙ্কার দিতে-দিতে । দ্বাপরে এলেন ধিনিকেষ্ট তিনি তাক করে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের বাজনা বাজিয়ে ঘটোৎকচ মূর্তি। কলি এলেন একেবারে ভীযণ একখান কাল –কিছু দেখবার যো নেই। খালি শোনা যাচ্ছে গালাগালি, মারামারি, কোলাহল, মাঝে মাঝে হরিবোল রাম-রাম সত্য, রাইট লেফট্‌ আর উড়ে জাহাজের ভুরুর ভো, মটরের ফেী ফেঁ । এরা দেখা দিয়ে মিলিয়ে যেতেই দেখা গেল একটা মস্ত পোল, তার মুখেই একটা ইসটিশান-ঘর, দেয়ালে লেখা —‘কথামালা, প্লাটফরম নং ওয়ান। একটা সিগনাল-কুলি পাহারালার লণ্ঠনে তেল জালাচ্ছে আর গাইছে । বলব কি অবাক কাণ্ড – এই কুলিটার কাছে আমি নিজেকে দেখলেম, লাঠি হাতে খোড়াতে খোড়াতে উপস্থিত। চেহারা ঠিক এই, কেবল চশমা নেই চোখে আর বয়েস হয়ে গেছে একষট্টি উলটে ○○8