কি না প্রাণ, গান গাব কি না ফিরে আর-একবার, তাই ভাবছি সোনালিয়া ।” সোনালি কুঁকড়োকে আপনার ডানার মধ্যে জড়িয়ে ধরে বললে, ‘নিশ্চয়ই কাল তুমি গান ফিরে পাবে গল ফিরে পাবে, আলোর সুর মাটির ভালোবাসা আবার সাড়া দেবে তোমার বুকের মধ্যে ।” কুঁকড়ে সোনালিকে বললেন, কী আশার আলোই জালালে সোনালি, বলে, বলে, আরো বলে। — ' সোনালি চুপি চুপি বললে, আহা মরি, কী সুন্দর তুমি ? ও কথা থাক সোনালি। কী চমৎকারই গাইলে তুমি ? কুঁকড়ে বললেন, ‘গান ভালো মন্দ যেমনি গাই আমি যে আনতে পেরেছি। --” সোনালি ব্যস্ত হয়ে বলে উঠল, "ঠিক, ঠিক, আমি তোমায় যতই দেখছি ততই অবাক হচ্ছি।” “না সোনালি, আমার কথার উত্তর দাও, বলে, সত্যি কি — ’ সোনালি আস্তে বললে, “কী ? কুঁকড়ে বললেন, বিলো, সত্যি কি আমি, সোনালি এবার তাড়াতাড়ি উত্তর দিলে, পাহাড়তলির কুঁকড়ে তুমি সত্যি আলো দিয়ে সূর্যকে ওঠালে আজ, এ আমি স্বচক্ষে দেখেছি।’ “ভ্যালারে ওস্তাদ’ বলেই তাল-চড়াইট হঠাৎ উপস্থিত। কুঁকড়ে শিস দিচ্ছে আর নমস্কার করছে। কুঁকড়ো ভাবছেন এ হরবোলাটা সব শুনেছে নাকি । ইতিমধ্যে সোনালিয়া আস্তে আস্তে অন্ত দিকে চলেছে দেখে তিনি ডাকলেন, “আমাদের একলা ফেলে কোথায় যাও সোনালি। চড়াই যতই হামুক কুঁকড়োর আজ কিছুই গায়ে লাগবে না, সোনালিকে কাছে পেয়ে তার আনন্দ ধরছে না । চড়াই বললে, ‘বাহবা তারিফ । যা দেখলেম শুনলেম— ? কুঁকড়ে বললেন, চটকরাজ, তুমি যে মাটি ফুড়ে উপস্থিত হলে দেখছি ? চড়াই কুঁকড়োকে সেই পুরানো ময়লা খালি ফুলের টবটা দেখিয়ে 《업
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।