পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুঁকড়ো সোনালিকে চুপি চুপি শুখলেন, সে এক যাবে, ন তিনিও সঙ্গে যাবেন ? সোনালি বললে, না ওরকম মজলিসে তার যাওয়াটা ভালো দেখায় না। কুঁকড়ো সোনালিকে বললেন, তবে তুমি যাচ্ছ যে " ঝকমকানিট কেমন তাই সেই-সব হিংসুক পাখিকে দেখিয়ে আসব, ব’লে সোনালি একবার গা ঝাড় দিলে তার সোনার পালকগুলে। থেকে যেন আলো ঠিকরে পড়তে লাগল। সোনালি কুঁকড়োকে সেইখানে তার জন্যে থাকতে বলে চিনে-মুরগির মজলিসে চলল। চড়াই অমনি তাড়াতাড়ি বলে উঠল, 'ই, কুঁকড়োর আজ সেখানে না গেলেই ভালো।’ কুঁকড়ে শোধালেন, ‘কেন। ‘সে তোমার শুনে কাজ নেই বলে চড়াই মিটমিট করে চাইতে লাগল সোনালির দিকে । সোনালি হেসে বললে, 'না, চড়াইকেও যে তুমি পাগল করলে’ বলে সোনালি পাখি সোনালি ডান মেলে উড়ে গেল। কুঁকড়ে চড়াইয়ের দিকে চেয়ে ভাবছেন, জিন্ম৷ একে দেখতে পারে না, কিন্তু চড়াইট নেহাত মন্দ নয়, একটু বক্তার বটে, কিন্তু বদমাশ তো নয়। চড়াই এবার লেজ নেড়ে বললে, বলিহারি তোমার বুদ্ধিকে, সব মুরগিগুলোকে বিশ্বাস করিয়েছ যে তুমিই সূর্যোদয় করে থাক, মেয়েদের চোখে ধুলো দিতে তোমার মতো ছটি নেই, এতদিনে বুঝলেম মুরগির কেন তোমার অত প্রশংসা করে। হয় কলম্বস যে ডিমটি নিয়ে রাজাকে ডিমের বাজি দেখিয়েছিলেন সেই ডিমটি থেকে তুমি বেরিয়েছ, নয়তো সিন্ধবাদ যে আজগুবি সামোরগের ডিমের গল্প লিখে গেছে, তারি তুমি বাচ্ছ, এ না হলে তুমি আলোর আবিষ্কর্তা হতে না আর মুরগিদের এমন আজগুবি কথা শুনিয়েও ভোলাতে পারতে না । অণু পরমাণুদের জন্তে আলোর দোলন, খড়ের চালে সোনার পোচ, এ-সব খেয়াল কি যে-সে মাথা থেকে (tన