চড়াই ভয় পেয়ে বললে, ‘তত্ত্বকথা এসে পড়ল শুনেই মনে হয় পিপড়ের পালক ওঠে মরিবার তরে, বলে চড়াই নিজের পালক খুটতে লাগল। কিন্তু কুঁকড়ে বলে চললেন, কিছুর জন্যে যদি চেষ্টা না করব তবে বেঁচেই থাকা বৃথা, বড়ো হবার চেষ্টাই হচ্ছে জীবনের মূল কথা, তুই চড়াই সবার সব চেষ্টাকে উড়িয়ে দিতে চাস, সেইজন্যে তোকে আমি ঘৃণা করি, এই যে এতটুকু গোলাপি পোকাটি একা মস্ত ওই গাছের গুড়িটাকে রুপোর জাল দিয়ে গিণ্টি করতে চাচ্ছে, ওকে আমি বাস্তবিকই শ্রদ্ধা করি। আর আমি ওকে টুপ করে গালে ভরি’ বলেই চড়াই পোকাটিকে ভক্ষণ করলেন । তোর কী দয়া-মায়া নেই রে ? যা, তোর মুখ দেখব না’ বলে কুঁকড়ে। চললেন । চড়াই বললে, ‘দয়া-মায়া নেই কিন্তু ঘটে আমার বুদ্ধি আছে, যা হোক আমি আর তোমার কিছুতে নেই তোমার শত্রুরা যা-ইচ্ছে করুক বাপু, আমরা সে কথায় কাজ কী, তুমি জান আর তারা জানে ? কুঁকড়ে শোধালেন, শক্র কারা শুনি ? ‘কেন, পেচার।’ চড়াইট বলে উঠল। ‘শেষে এও ভাগ্যে ছিল, পেচা হলেন শক্র আমার, হাঃ হাঃ হাঃ’ বলে কুঁকড়ো হেসে উঠলেন। চড়াই বললে, ‘আলোর কাছে তারা এগোতে প র না বটে, সেইজন্তে তারা এক বাজখাই গুণ্ডু জোগাড় করেছে, যে পাখি রোজই দিন গুনছে তাকে জবাই করতে।’ ‘কাকে তারা জোগাড় করেছে কুঁকড়ে শোধালেন। চড়াই বললে, “তোমারই জাতভাই হায়দ্রাবাদি মোবগ, আঃ, সে যে কুস্তিগীর ভীম বললেই চলে, সে তোমার আসা-পথ চেয়ে সেখানে আছে। কুঁকড়ে শোধালেন, কোথায়। ওই চিনে-মুরগির ওখানে চড়াই বললে। কুঁকড়ে শোখালেন, ‘তুমি তাকে দেখতে যাচ্ছ নাকি ? না বাবা, যে তার পায়ে লোহার কাটা বাধা কী জানি যদি লেগে যায় তবে, বলে চড়াইট আড়চোখে কুঁকড়ো কী や>
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।