পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করেন দেখতে লাগল। কুঁকড়ে চট করে কুলতলার দিকে ঘুরে দাড়ালেন। চড়াই যেন কত ভয় পেয়ে বললে, যাচ্ছ কোথায়।’ ‘কুলের কাটা যেখানে অনেক সেই কুলতলাতে যাচ্ছি বলে কুঁকড়ে ঘাড় উচু করে পায়ে পায়ে চললেন। চড়াই যেন কুঁকড়োকে কিছুতেই যেতে দেবে না এমনি ভঙ্গি করে বললে, না তোমার যাওয়া সেখানে মোটেই উচিত হবে না, আমি বলছি যেয়ে না ’ যাওয়া চাই বলে কুঁকড়ে গম্ভীর মুখে পুরোনো ফুলের খালি টবটা দেখে বললেন, ‘এই ছোটাে গামলাটির মধ্যে তুমি সেঁধোলে কেমন করে।’ ‘কেন এমনি করে বলেই চড়াই লাফিয়ে সেটার মধ্যে গিয়ে বললে, ‘কেন এই এমনি করে সেধিয়ে এই ফুটে দিয়ে আমি দেখলুম। ‘কী দেখলে ? কেন মাটি’, ‘আর, এইবার আকাশ দেখে নাও।” বলেই কুঁকড়ে ডানার এক ঝাপটে টবটা উলটে চড়াইকে চাপ৷ দিয়ে সোজা চলে গেলেন। চড়াইট গামলার মধ্যে থেকে বেরোবার জন্তে ঝটাপটি করতে থাকল 'গেছি গেছি বলে । Wy চিনি-দিদি ব্যস্ত হয়ে চারি দিকে ঘুরছেন – খাতির যত্ন করে ; আর তার ছেলেটিও মায়ের সঙ্গে ঘুরঘুর করছেন আর মাঝে মাঝে মায়ের দু-একটা ইংরিজি উচ্চারণের আর আদব-কায়দার ভুল হলেই চমকে তাকে কানে কানে ধমকাচ্ছেন। ছেলেটি বিলেতে ভাষাতত্ত্ব পড়তে গিয়েছিলেন কিন্তু সাতার মোটেই না জানায় তিন-তিনবার প্লাক্ট হয়ে এসেছেন। সোনালি-আঁচল উড়িয়ে বনমুরগি সোনালি যখন হেঁসেলবাড়ির খিড়ক্লির কাছটায় পৌছল, তখন রাজ্যের পাখি সেখানে জুটে কিচমিচ লাগিয়েছে; চিনি-দিদির মজলিসটা খুজে নিতে সোনালির আর একটুও কষ্ট পেতে হল না। সোনালিয়াকে দেখেই চিনি-দিদি খাতির করে কুলতলায় ফাকায় ७२