মোহনভোগ, বামুনমারি, কানাইচুড়ে, চৌগোপল, টেকুচকুচ, ঢাকপিটুনে, ফিকরে গোঁসাই, বেঁটেবঙ্কট, কয়লাধামা, রাজকুমড়ে, থুতি নাতি। ' কুলতলাটা কুটিত্বে পালকে, চাপদাড়ি, গোপ, টিকি, আর পোষা-পালা বড়ো-বড়ো খেতাব-জাইগির-শিরপেচওয়ালা মোরগের ভিড়ে সরগরম হয়ে উঠল, যেন পালকের গদি । কারু লেজের পালক, মেপে সাতগজ। কারু গলায় যেন উলের গলাবন্ধ জড়ানো রয়েছে। একজনের ঝুটির কেতা যেন রামছাগলের শিং। কারু মাথায় জরির তাজ, কারু এক চোখে চশমা, অন্য চোখটা টুপিতে ঢাকা ; কারু বুকে ফুলের তোড়ার মতো খানিক পালক, কারু আঙল দস্তানায় মোড়, কারু-বা আঙুল এত লম্বা যে কিছুই ধরতে পাবেন । কেউ বাঁকড়া চুলের উপরে আবার টিকি রেখেছে, আর কারু-বা মাথায় চুলও নেই, টিকিও নেই, কিছুই নেই। ঘাড়েগর্দানে-সমান এই শেষের মোরগট হচ্ছে সেই নামজাদা লড়ায়ে মোরগ, যে বিলেত পর্যন্ত মেরে এসেছে। এরি দুপায়ে ইস্পাতের কাটী-মারা ভয়ংকর ছুটে কাতান মানুষ শখ করে বেঁধে দিয়েছে, অন্য মোরগকে লড়ায়ে খুন করে বাজি জেতবার আর মজা দেখবার জন্যে। ঘোড়দৌড়ের খেলায় যেমন, তেমনি এই মোরগের লড়াই দেখতে আর বাজি লাগাতে লোকে টিকিট পায় না, এত ভিড় হয় । বেড়াল চড়াইকে গাছের উপর থেকে এই মোরগটাকে দেখিয়ে বললে, “এই সেই বাজখাই গুণ্ড বা লড়ায়ে মোরগ বা নবাব বাজেখার বাবুর্চিখানার শেষ-পোষা পাখি । পুরুষানুক্রমে এদের ঘাড় এমন শক্ত যে মোটেই নোয় না, ইনি শুধু দিল্লীর লাড খেয়ে ठाएछुन् ।' এইবার সব বিলেত-ফেরত মোরগ এলেন, মিস্টার চচ্চড়ি, মিঃ ভাজি, মিঃ ঘণ্ট, মিঃ আবার খাব, মিঃ চাপাটি, মিঃ বে-হোস । চিনি-দিদি ভাবছেন এই-সব মোরগের মুরগিদের নিয়ে আসছেবারে ৬৭
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।