পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুজরাটি, পায়রা কি —কী, বোঝবার জো নেই, ডিগবাজি খেতে খেতে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ল। তার পর দাড়কাক ফুকরলে, ‘ব্রহ্মাণ্ডভাণ্ডোদর রাজহংস স্বামিজী। কুঁকড়ে পদ্মবনের মরাল আসছেন ভেবে আনন্দে দরজার দিকে চেয়ে রইলেন, অনেকক্ষণ পরে পাখির মতো পাখি আসছে ভেবে ; কিন্তু হেলতে তুলতে সাদা মরাল না এসে, নেংচাতে নেংচাতে এলেন এক পাখি, দেখতে মরালের মতো কতকটা, কিন্তু মোটেই সাদা নয়, সিধেও নয়, কালো বুল । কুঁকড়ে নিশ্বেস ছেড়ে বললেন, মরাল না এসে এল কি না মরালের একটা বিকট কালো ছায়া ’ বলে কুঁকড়ে একটা দোলার উপরে দাড়িয়ে এদিক ওদিক দেখতে লাগলেন, দূরে সবুজ মাঠ, তারি উপরে ধেনু চরছে, বাছুরগুলো ছুটোছুটি করছে ; কোথায় আমলকী গাছের ছাযায় বাঁশি বাজছে তারি শব্দ। পৃথিবীর সবই এখনো এই সব হরেক রকম পোষা পাখিগুলোর মতো টেরে বেঁকে অদ্ভুত রকম হয়ে ওঠে নি ; সাদাসিদে গোলগাল যেমন ছিল তেমনিটি আছে। ঘাসের রঙ সবুজই রয়েছে, আকাশ নীল, জল পরিষ্কার, পাখিরা উড়ছে ড়ান। ছড়িয়ে, গোরু হটছে চার পায়ে, মানুষ চলেছে ছুপায় । কুঁকড়ে আনন্দে এই-সব দেখছেন আর সোনালি আস্তে আস্তে র্তার কাছে এসে দাড়িয়ে বলছে, এই-সব চিড়িয়াখানার উপযুক্ত অদ্ভুত সঙগুলোকে আমার ভারি খারাপ লাগছে, আর একদং এখানে থাকা নয়, চলে আমরা দুজনে সেই বমে চলে যাই ; সেখানে আলো আর ফুল আর তোমার আমার ভালোবাসা ? কুঁকড়ে ঘাড় নেড়ে বললেন, ‘না সোনালি, সে হতে পারে না । বিধাতা যেখানে রেখেছেন সেইখানেই আমাকে থাকতে হবে । আমি জানি এই আবাদটুকুর মধ্যে করবার মতে কাজ আমাদের অনেক রয়েছে, আর, সবার ভালোবাসাও এখানে পাচ্ছি তো ? সোনালির মনে পড়ল রাত্রের ঘুটের কথা ; কিন্তু ওদের ভালোবাস যে মোসলমানের মুরগি-পোষার মতে, সেটা বলে কুঁকড়োকে ফুঃখ দেওয়া কেন। সে 'বার বার বলতে লাগল, না না, চলে। \eఫి