স্বরলিপি করে যাচ্ছিল, সে বললে, ‘প্রথম লাগল মধ্যম আ-মা ; তার পর হল, রি-র-গা-র-গ, এই হল মা-রি-গ৷ ” আর একজন বললে, ‘মা-রি-গা তো নয়, ধ-পা-স।” কুঁকড়োর মনে হল, ঠিক সবাই পাগল হয়ে গেছে। এ-সব কী খেয়াল। তিনি সাফ জবাব দিলেন, ভিনি কোনো গানের ইস্কুলে গান শেখেন নি, শাস্তর-মাস্তর তিনি জানেনও না মানেনও না, গোলাপ যেমন ফুল ফুটিয়ে চলেছে, তিনি তেমনি গান গেয়ে চলেছেন, এইটুকুই তিনি জানেন। কুঁকড়ো শাস্ত্রের কিছুই জানেন না দেখে অন্ত মোরগগুলো তর্ক ছাড়লে। কিন্তু গোলাপের শোভা কি কুঁড়িতে কি ফোটা অবস্থায় ময়ূরটার অসহ্য ছিল, দেখলেই সে ঠোকর দিতে ছাড়ত না ; কুঁকড়ে গোলাপের নাম করতেই ময়ূরটা অমনি বলে উঠল, ‘গোলাপ আবার একটা ফুলের মধ্যে নাকি ? কুঁকড়ে গোলাপের নিন্দে শুনে রেগেই লাল ; তিনি সব মোরগকে শুনিয়ে বললেন, ‘কুঁকড়ে কিংবা মোরগ হয়ে গোলাপের নিন্দে যে সয় সে নরাধম কুলাঙ্গার.' হেঃ তে-রি-গো-ল-প ’ বলে বাজখাই মোরগ তাল-ঠুকে উপস্থিত, ‘আওতে, কুঁকড়ে দেখে বলে। ‘আও। ব’লেই কুঁকড়ে বুক-ফুলিয়ে এগিয়ে সে বললেন, ‘তোকেই খুজছিলেম বুটিকাটা কাকাতুয়া।’ বাজখাই কেওমেও করে বলে উঠল, ক্যা বোলা ? এ কেসা বাত হুয়া ?—কা-কা-তু-য়া-তুয়া কাক ? কুঁকড়ো ঠিক তেমনি মুরে বলে উঠলেন, ক্যা বোলা কা-কাতুয়া ? - খানিক দুজনে চোখ পাকিয়ে পালক ফুলিয়ে এ-ওর দিকে চাওয়াচায়ি হল । তার পর বাজখাই বললে, “তুমসে কুস্তিগীর পাহালোয়ান জাহানদার জবরদস্ত দশ জোয়ানকে সাথ বেলায়েৎমে ময় লড়া হু, আউর জিতা হু, দে দশকে ঘয়েল ভি কিয়া।’ סף
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।