পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুঁকড়ে আস্তে-আস্তে চোখ মেলে বললেন, ভয় নেই, কালও আবার সূর্য উঠবে, আলো ফুটবে। এদিকে হায়দারিকে 'ছও দিয়ে তাড়িয়ে সব পাখি কুঁকড়োকে ‘জয় জয়’ বলে খাতির করতে এল । কুঁকড়ে রেগে হাকলেন, ‘ছুও মৎ, তফাত রও ' জিম্মা বললে, “আর কেন । কে কেমন তা বোঝা গেছে, সরে পড়ে ? - সোনালি বললে, ‘সত্যিকার পাখি যদি থাকে তে সে বনে, তোরা কি পাখি। তার পর কুঁকড়োর দিকে ফিরে সোনালি বললে, ‘চলো, আর এখানে কেন, বনে চলে যাই চলো ? কুঁকড়ে বললেন, ‘না, আমাকে এখানেই থাকতে হবে ? ‘এত কাণ্ডের পরেও, সব জেনেও ? সোনালি অবাক হয়ে শুধোলে । কুঁকড়ে জবাব দিলেন, ‘ই, সব জেনেও থাকতে হবে।’ সোনালি অবাক হয়ে রইল। কুঁকড়ে আবার বললেন, ‘হঁ। সোনালি, এখন শুধু আমার গানের জন্যেই থাকব, আর কারু জন্যে নয়। মনে হচ্ছে এ দেশ ছাড়লে বিদেশে বিভুয়ে গান আমার শুকিয়ে মরবে। আঃ, এই আকাশ, এই দিন –একে আবার আমি গান গেয়ে আলো দিয়ে কাল জাগিয়ে তুলব, মরতে দেব না।’ পাখিগুলো আবার মুখ কাচুমাচু করে কুঁকড়োর দিকে এগিয়ে এল । তিনি ঘাড় নেড়ে মান করলেন, ‘ন, আর না, কেউ না, এখন শুধু আমি আর আমার গান, আর আমার কেউ নেই, কিছু নেই, সরে যাও, আমি দিনের আসা গাই। সব পাখিরা দূরে সরে গেল ; কুঁকড়ে সোজা দাড়িয়ে সুর ধরলেন, আ-আ-আ, । কিন্তু এ কী। গান কোথায় গেল। তার মনের ভিতর ঘুরছে — সা-সাস। তিনি আবার চাইলেন গাইতে, অমনি মনে হল সুয়টা ওড়ব না খাড়ব ? ওটা পঞ্চম না ধৈবত ৷ তেতালা না চৌতালা ? এমনি সব নন। শাস্ত্রের বিড়বিড় হিজিবিজি র্তার গলার মধ্যে বুকের মধ্যে ঘটুঘটু করতে লাগল। কুঁকড়ে নিশ্বেস ছেড়ে বললেন, ‘হায় আমার bre