পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গান পর্যন্ত রাখলে না ; সব কেড়ে নিলে –কোথায় আমার গান। বলে কুঁকড়ে ঘাড় হেঁট করলেন। সোনালিয়া কাছে ছুটে এল, কুঁকড়ো তার বুকের মধ্যে মুখ লুকিয়ে কেঁদে বললে, ‘তুমি ছাড়া আর কেউ নেই, তোমার ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু নেই জগতে, ও আমার স্বপন-পাখি । সোনালি আস্তে আস্তে বললে, ‘চলো চলে যাই, যেখানে কেবলই গান আর ফুল ফুটছে সেই বন, সেখানে সা-রে-গা-মা বলে কেউ মাথা বকায় না—দিনরাত গেয়েই চলে |’ কুঁকড়ো সোনালিকে বললেন, ‘যাব, তোমার সঙ্গেই যাব, দুজনে যাব, শুধু যাবার আগে এদের একবার চোখ ফুটিয়ে দিয়ে যাব।’ ব’লে কুঁকড়ে সবাইকে ডেকে বললেন, ওগো কুলতলার নিষ্কৰ্মার দল । এই সবজি বাগান হাওয়া খাবার জায়গাও নয়, গুলতোন করবার আড়াও নয়, এখানে কাজ চলেছে, ফুল থেকে ফল আস্তে আস্তে তৈরি হচ্ছে, হট্টগোলের জায়গা এটা নয়, ওই শোনে। মৌমাছিরাও এই কথাই বলছে ? অমনি সব মৌমাছি বলে উঠল, ‘কাজের সময়, সবো না মশয় । সরো না মশয় ! এসো না মশয় ॥ এসো না মশয় ? তার পর মুবগিদের ডেকে কুঁকড়ে বললেন, “ওই পোষা মোরগের পালক দেখে ভুলে না। ভুলে না। যে ধান ছড়ায় ই রি কাছে ওরা ছুটে যায়, গোলাম বনে সেলাম বাজায়। ওদের সবখানিই মিথ্যে দিয়ে গড়, সত্যির মধ্যে কেবল ওদের পেটটি । আর মযুব তোমাকে বলি, দেব-সেনাপতির বাহন বলে বিধাতা তোমায় ভালো সাজ দিয়েছেন, কিন্তু তাই বলে সাহস বলে জিনিস তোমায় একটুও তিনি দেন নি ; দিয়েছেন তোমার বুকের মধ্যে হিংসে আর দেমাকের বিষ এমনি ভাবে যে তোমার গলার খানিক পালক পুড়ে কালি হয়ে গেছে ; আর তোমার ল্যাজের ডগাটি পর্যন্ত হয়ে গেছে নীল, পাছে কারু বাড় দেখতে হয় সেই ভয়ে ? চড়াই অমনি বলে উঠল, ছুট, ? br> وهممسك , جه