কুঁকড়ে বললেন, সেখান থেকে যখন কথা আসবে তখন এই ফুলের মধ্যে যে মৌমাছিটা আছে, সে জেগে উঠবে আর – ' ‘বেঁ-ও-ও শব্দ হল। অমনি কুঁকড়ে ফুলে কান দিয়ে চড়াই নাকি বলে খানিক আবার শুনে বললেন, ও তাই নাকি। আজ সকালে — ? কাঠঠোকরা শুধলে, "কী বলছে ? কী ? কুঁকড়ে বললেন, ছকুড়ি দশটা মুরগির বাচ্ছা ফুটেছে ? তার পর আবার একটু শুনে বললেন, বিলো কী। তন্মার ভারি ব্যায়রাম ? কী একটা গোল বাধল। কুঁকড়ে বললেন, ‘রোসে, রোসে। কী । ভালো শোনা যাচ্ছে না হে । আঃ, মশাগুলো জ্বালালে । চড়াই, আঃ, ই ই তার পর, জিম্মাকে নিয়ে তারা শিকারে বেরবে। বল কী হে।’ ‘জিন্ম গোলাবাড়ির একজন —কাঠঠোকরাকে এই বলে কুঁকড়ে আবার ফেঁ ধরলেন, কী বললে ! আমি চলে আসবার পর থেকে সব কাজে গোলমাল চলেছে ? এ তো জানা কথা .এই সেদিন এসেছি এরি মধ্যে - যেতে হবে. তাই তো কী করা যায় হে..যাব নাকি। কী বল। কাঠঠোকরা চুপিচুপি বললে, ‘সোনালি আসছেন। কিন্তু কুঁকড়ে তখন মন দিয়ে কানে ফুলটা চেপে ধরেছেন, কাঠঠোকরার কথা তার কানেই গেল না। কথা চলল, ‘কী বললে ? হাসগুলো সারারাত লাঙলটার তলায় ঘুমিয়েছে ? বল কী? কাঠঠোকরা কুঁকড়োকে বলছে, থাকৃ, দেখে, চুপ ? কিন্তু কিছু ফল হচ্ছে না। ওদিকে সোনালি এসে উপস্থিত। কাঠঠোকরাকে ইশারায় চুপ করতে বলে সোনালি কুঁকড়োর পিছনে লুকিয়ে দাড়াল। ফোনে কুঁকড়ে বললেন, বলে কী, সব কজনেই? ও? ময়ূরটা ত৷ হলে মাটি হয়েছে ৰলো।’ t কাঠঠোকরা আবার মুখ বার করতেই সোনালি তার দিকে এমনি চোখ রাঙিয়ে উঠল যে সে তাড়াতাড়ি কোটরে যেমন সেঁধবে, অমনি حيا: يا
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।