দরজায় মাথা ঠুকে ফেললে। কুঁকড়ে ফোনে বললেন, মুরগির সব.আঃ, আলো আছে শুনে খুশি হলেম.গান? ও গান করি বৈকি। ই রোজ। কিন্তু এখান থেকে একটু দূরে.ওই যে দিঘিটা আছে, তারি ধারে । হা, নিত্যি নিত্যি, ঠিক আগেরই মতো ' রাগে সোনালি লাল হয়ে উঠল ; তাকে লুকিয়ে গান গাওয়া হয়। এত বারণ করলুম.। কুঁকড়োর কথা চলল, ‘সোনালি গাইতে মান করে, তাই লুকিয়ে আমি আলো আনছি আজকাল । সোনালি এক-পা কুঁকড়োর দিকে এগিয়ে শুনলে, কুঁকড়ে বলছেন, যখন সোনালির কালে৷ চোখদুটি ঘুমে ঢলে পড়ে, যখন তার সোনার দেহটি আলিসে লুটিয়ে চমৎকার দেখতে হয়, সোনালির মুখে এবার হাসি ফুটল। ...সেই সময় আমি পা-টিপে-টিপে শিশিরের উপর দিয়ে দূরে গিয়ে, আলোর জন্যে যে-ক'টি গান সব ক’টি গেয়ে, যেমনি দেখি অন্ধকার ফিকে হচ্ছে, অমনি আস্তে আস্তে বাসায় ফিরি ...কী বলছ ? শিশিরে পা ভিজে দেখে সে সন্দেহ করবে ? তাই যদি হবে, তবে ডানার পালকগুলো আছে কী করতে। পা-দুটাে মুছে নিতে কতক্ষণ। তার পর আস্তে আস্তে অশোকের ডালে বসে যে-গান সে গাইতে মানা করে নি, সেইটে গেয়ে তার ঘুম ভাঙাই।’ সোনালি আর রাগ সামলাতে না পেরে ফো- করে উঠল । কুঁকড়ো ঘাড় ফিরিয়ে তাকে দেখেই চটপট ফোনে বললেন, ‘নাঃ কিছু না, আর একদিন হবে এখন ? সোনালি বললে, “আমাকে ঠকালে কেন ? ফোনটা শব্দ করলে, ‘ফুর-র । কুঁকড়ে বললেন, ‘আমি তোমাকে— ‘ফুর-র, আবার ফুলের মধ্যে মাছিটা ডাকলে। কুঁকড়ে ফুলটার উপর ডান চাপা দিলেন, কিন্তু সেট ক্রমাগত ‘ফুর-র-র-র-র-র বলেই চলল । সোনালি খুব রেগে বললেন, কী নির্দয় তুমি ঠগ।.কেন শুধচ্ছ। br3
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।