পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেনাপতি হয়ে যুদ্ধ চালান ; তবে তাই হোক ? রাজা মান হতাশের মতো চারিদিকে চেয়ে দেখলেন ; তারপর ধীরে-ধীরে বললেন– তবে তাই হোক। তারপর একদিক দিয়ে মূৰ্ছিতপ্রায় মান-রাজ চাকরের কাধে ভর দিয়ে অন্তঃপুরে চলে গেলেন ; আর একদিক দিয়ে বাপ্পাদিত্য সৈন্য সাজাতে বাহির হলেন ! বিদ্রোহী-সর্দারদের মাথা হেঁট হল । তারা মনে ভেবেছিলেন যে, পনেরো বৎসরের বালক বাপ্পা যুদ্ধে যেতে কখনোই সাহস পাবে না— সভার মাঝে তাপমান হবে ; কিন্তু যখন সেই বীর-বালক নির্ভয়ে হাসিমুখে এই ভয়ংকর যুদ্ধের ভার বাজবি কাছে চেয়ে নিলে, তখন তাদের বিস্ময়ের সীমা রইল না। র্তারা আরও আশ্চর্য হলেন, যখন সেই বাপ্পা— র্যাকে তারা একদিন পথের ভিখারী বলে ঘৃণা করেছেন— পনেরো বৎসরের সেই বালক বাপ্পা— যুদ্ধ জয় করে কোটি-কোটি রাজপুত-প্রজাব আশীৰ্বাদ, জয়জয়কারের মধ্যে একদিন শুভদিনে শুভক্ষণে সমস্ত রাজস্থানের রাজমুকুটেৰ সমান রাজপুতের রাজধানী চিতোব নগরে ফিরে এলেন ! সেদিন সমস্ত রাজস্থান বেড়ে কী আনন্দ, কী উৎসাহ ! নতুন সেনাপতি বাপ্পা সমস্ত রাজস্থানকে ভয়ংকর মুসলমানদের হাত থেকে রক্ষা করে যেদিন চিতোব নগরে ফিবে এলেন, সেদিন বাজা মানেব বুড়ো বুড়ে সর্দারেরা ক্ষুন্ন মনে রাজসভা ছেড়ে গেলেন । মহারাজ মান তাদের ফিবিয়ে আনতে কভযার চেষ্টা কর:ে , কাকুতিমিনতি, এমন কি শেষে বাজগুরুকে পর্যন্ত তাদের কাছে পাঠালেন, কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না, সদারেবা দূতের মুখে বলে পাঠালেন— ‘আমরা মহারাজের নিমক খেয়েছি, এক বৎসর পর্যন্ত আমরা শক্রতা করব না, বৎসর শেষ হলে যুদ্ধক্ষেত্রে দেখা হবে।’ সেই এক বৎসর কত ভীষণ ষড়যন্ত্র কত ভয়ংকর পরামর্শে কেটে গেল ! এক বৎসর পরে সেই বিদ্রোহী সর্দারের দুষ্ট পরামর্শে রাজা মানকে ভুল বুঝে বাপ্পা তাদের সকলের নোপতি হয়ে যুদ্ধে চলেন । রাজা মান যখন শুনলেন বাপ্পা তার রাজসিংহাসন কেড়ে নিতে brఫి