আসছেন ; যখন শুনলেন যে-বাপ্পাকে তিনি পথের ধুলো থেকে একদিন রাজসিংহাসনের দিকে তুলে নিয়েছিলেন, যার দীনহীন বেশ একদিন তিনি রাজবেশ দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন, যাকে তিনি প্রাণের চেয়েও প্রিয় ভেবেছিলেন— হায় রে! সেই অনাথ আজ সমস্ত কৃতজ্ঞতা ভুলে তারই রাজছত্র কেড়ে নিতে আসছে, তখন তার দুই চক্ষে ঝরঝর করে জল পড়তে লাগল। তিনি সেই বৃদ্ধ বয়সে এক একদল রাজভক্ত সৈন্য নিয়ে যুদ্ধে গেলেন ; সেই যুদ্ধই তার শেষ যুদ্ধ ; যুদ্ধক্ষেত্রে বাপ্পার হাতে মানরাজা প্রাণ দিলেন । ষোলো বৎসরের বাপ্পা দেববন্দরের রাজকন্যাকে বিয়ে করে হিন্দুমুকুট, হিন্দু-সূর্য, রাজগুরু, চাকুয়া উপাধি নিয়ে চিতোরের রাজসিংহাসনে বসলেন। বালিয় ও দেব দুটি ভাই ভাল, বাপ্পার কপালে রাজতিলক টেনে দিয়ে দুখানা গ্রাম বকশিশ পেলে । বাপ্পা সেদিন নিয়ম করে দিলেন যে, তার বংশের যত রাজা সকলকেই এই দুই ভৗলের বংশাবলীর হাতে রাজটক নিয়ে সিংহাসনে বসতে হবে । আজও সেই নিয়ম চলে আসছে। এই নতুন নিয়ম বাপ্পা রাজস্থানে যখন প্রচলিত করলেন, তখন এই ভৗলের হাতে রাজটীকা নেবার কথা যে শুনলে, সেই মনে ভাবলে নতুন রাজার এ একটা নতুন খেয়াল ; কিন্তু মান রাজার সভাপণ্ডিতের ভাবলেন, ইনি কি তবে গিহেলাট-রাজকুমার গোহের বংশীয় ?— সূর্যবংশেই তো ভীলেব হাতে রাজটীকা নেবার নিয়ম ছিল জানি ! মহারাজ বাপ্পা নাগদিত্যের মহিষী চিতোর-রাজকুমারীর ছেলে নয়তো? রাজা মান, বাপ্পার মায়ের ভাই মামা নয়তো ? ছিঃ! ছি! বাপ্পা কি অধৰ্ম করলেন —চোরের মতন মামাব সিংহাসন আপুনি নিলেন? এমন নিষ্ঠুর রাজার রাজত্বে থাকাও যে মহাপাপ | পণ্ডিতেরা আর রাজসভার মুখো হলেন না-একে-একে চিতোর ছেড়ে অন্য দেশে চলে গেলেন! হায়, তারা যদি জানতেন বাপ্পা কত নির্দোষ ; বাপ্পা স্বপ্নেও ভাবেননি রাজা মান তার মামা । তিনি তার পালক পিতা সেই রাজ ఏ డి
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।