পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরোহিতের কাছে ভীল-বিদ্রোহ, রাজা গোহ, গায়েব গায়েবীর গল্প শুনতেন বটে, কিন্তু তিনি জানতেন না, যার নিষ্ঠুর অত্যাচারে সরল ভীলেরা একদিন ক্ষেপে উঠেছিল, সেই মহারাজ নাগাদিত্য র্তার পিতা ; তিনি জানতেন না যে, তারই পূর্বপুরুষ রাজকুমার গোহ, যাকে পুষ্পবতী ব্রাহ্মণী কমলাবতীর হাতে সঁপে দিয়ে চিতার আগুনে ঝাপ দিয়েছিলেন । বাল্প ভাবতেন তিনি কোনো সামান্ত রাজ্যের রাজপুত্র। রাজা হবার পর বাপ্পা যখন দেলবন্দরের রাজকন্যাকে বিয়ে করে ফিরে আসেন, তখন বাণমাতা দেবীর সোনার মূর্তি সঙ্গে এনেছিলেন । চিতোরের রাজপ্রাসাদে শ্বেত-পাথরের মন্দিরে সোনার সেই দেবমূতি প্রতিষ্ঠা করে প্রতিদিন দুই সন্ধ্যা পুজো করতেন। অনেক দিন কেটে গেছে, বাপ্পা প্রায় বুড়ে হয়েছেন, সেই সময় একদিন ভক্তিভরে বাণমাতাকে প্রণাম করে উঠবার সময় বাপ্পার গলা থেকে ছেলেবেলার সেই তামার কবচ ছিড়ে পড়ল। বাপ্প। বড়ো হয়ে উঠেছিলেন কিন্তু সুতোয় বাধ। তামার কবচটি তার গলায় যেমন, তেমনই ছিল— অনেকদিনের অভ্যাসে মনেই পড়ত ন| সে, গলায় একটা কিছু আছে । আজ যখন হীরামেতির কুড়িগাছা হারের নিচে থেকে সেই পুরোনো কবচখানি পায়ের তলায় ছিড়ে পড়ল, তখন বাপ্পা চমকে উঠে ভাবলেন, এ কী ! এতদিন আমার মনেই ছিল না যে এতে লেখা আছে আমি কে, কোথায় { লুম ! তাজ সব সন্ধান পাওয়া যাবে! বাপ্প। প্রফুল্ল-মূখে সেই তামার কবচ মহারানীর হাতে এনে দিয়ে বললেন — পড় তো শুনি ? বাপ্পা নিজে এক অক্ষরও পড়তে জানতেন না । মহারানী বাপ্পার পায়ের কাছে বসে পড়তে লাগলেন। কবচের এক পিঠে লেখা রয়েছে— বাসস্থান ত্রিকূট পৰ্বত, নগেন্দ্রনগর, পরাশর-অরণ্য। বাপ্পা হাসিমুখে রানীর কাধে হাত রেখে বললেন– এই আমার ছেলেবেলার দেশ, এইখানে কত খেল খেলেছি ! সেই ত্রিকূট পাহাড়, সেই আশি বৎসরের বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের গম্ভীর মুখ, নগেন্দ্রনগরে ঝুলন సె