হাতে ঘোড়ার লাগাম আর হাতে সোনার জিঞ্জীর-বাধা প্রকাও একটা শিকরে পাখি ! বাদশ ভাবতে-ভাবতে চলেছেন— এতদিন হয়ে গেল তবু তো চিতোর দখল হল না ; সৈন্তের দিল্লী ফেরবার জন্তে ব্যস্ত, আর কতদিন তাদের ভুলিয়ে রাখা যায় ? যে পদ্মিনীর জন্যে এত সৈন্য নিয়ে এত কষ্ট সয়ে বিদেশে এলেন, সে পদ্মিনীকে তো একবার চোখেও দেখতে পেলেন না । বাদশ একবার বাহাতের উপর প্রকাণ্ড শিকরে পাখিটার দিকে চেয়ে দেখলেন । হয়তো তার মনে হচ্ছিল – যদি কোনো রকমে দুখানা ডানা পাই, তবে এই বাজটাব মতো চিতোরের মাঝখান থেকে পদ্মিনীকে ছো মেরে নিয়ে আসি ! হঠাৎ সন্ধ্যাব অন্ধকারে ডানাব একটুখানি ঝটপট সেই ঘুমন্ত শিকরে পাখির কানে পৌছল, সে ডান ঝেড়ে ঘড়ি ফুলিয়ে বাদশার হাতে সোজা হয়ে বসল। আল্লাউদ্দীন বুঝলেন, তার শিকারী বাজ, নিশ্চয়ই কোনো শিকাবের সন্ধান পেয়েছে । তিনি আকাশে , চেযে দেখলেন, মাথার উপর দিয়ে দুখানি পান্নার টুকরোর মতো এক-জোড়া শুক-শাবী উড়ে চলেছে । বাদশা ঘোড়া থামিয়ে বাজের পা থেকে সোনার জিঞ্জীর খুলে নিলেন ; তখন সেই প্রকাণ্ড পাখি বাদশার হাত ছেড়ে নিঃশব্দে অন্ধকার আকাশে উঠে কালো দুখান ডানা ছড়িয়ে দিয়ে শিকারীদেব মাথার উপরে একবার স্থির হয়ে দাড়াল, তারপর একেবারে তিনশে গজ তাকাশের উপর থেকে, এক টুকরে। পাথরেব মতে সেই দুটি ওক-শারীব মাঝে এসে পড়ল । বাদশা দেখলেন একটি পাখি ভয়ে চিৎকার করতে-কল্প ত সন্ধ্যার আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর একটি পাখি প্রকাও সেই বাজের থাবার ভিতব ছটফট করছে । তিনি শিস দিয়ে বাজ পাখিকে ফিরে ডাকলেন, পোষা বাজ শিকার ছেড়ে বাদশার হাতে উড়ে এল ; আর ভয়ে মৃতপ্রায় সেই সবুজ শুক ঘুরতে-ঘুরতে মাটিতে পড়ল। বাদশা আনন্দে সেই তোতা-পাখি তুলে নিতে হুকুম দিয়ে শিবিরের দিকে ঘোড়া ছোটালেন । আর সেই তোতাপাখির জোড়-পাখিটি প্রথমে করুণ সুরে ডাকতে-ডাকতে সেই শিকারদের সঙ্গে সঙ্গে সন্ধ্যার Yo (t
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।