করে নতুন বন্ধু দিল্লীর বাদশাহকে কেল্লার বাইরে পৌছে দিতে চললেন । অমাবস্তার রাত্রি, আকাশে শুধু তারার আলো, পৃথিবীতে কালো অন্ধকার ; ঘরে-ঘরে দরজা বন্ধ— সমস্ত দিন পরিশ্রমের পর নগরের লোক ঘুমিয়ে আছে ; চিতোরের রাজপথে জনমানব নেই, আল্লাউদ্দীন সেই জনশূন্ত রাজপথ দিয়ে ঘোড়ায় চড়ে চলেছেন, সঙ্গে রানা ভীম আর কুড়িজন রাজপুত সেপাই । আজ রানার মনে বড় আনন— চিতোরের প্রধান শত্রু আল্লাউদ্দীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হল, তার কখনো চিতোরকে পাঠানের অত্যাচার সহ্য করতে হবে না। রানা যখন ভাবলেন, কাল সকালে পাঠানসৈন্য চিতোর ছেড়ে চলে যাবে, যখন ভাবলেন চিতোরের সমস্ত প্রজা কাল থেকে নির্ভয়ে রান রানীর জয় জয়কার দিয়ে, যে যার কাজে লাগবে, তখন র্তাব মন আনন্দে নৃত্য করতে লাগল। তিনি মহা উল্লাসে বাদশার পাশে পাশে ঘোড়ায় চড়ে কেল্লার ফটক পার হলেন । তখন রাত্রি আর ও অন্ধকার হয়েছে ; পাহাড়ের গায়ে বড়ো-বড়ো নিম গাছ ক'লো-কালে দৈত্যেব মতে রাস্তার তুই ধারে সারি বেঁধে দড়িয়ে আছে । আব কোথাও কোনো শব্দ নেই, কেবল কেল্লার উপর থেকে এক একবাব প্রহরীদের হৈ-হৈ আর পাথরের রাস্তায় সেই বাইশট ঘোড়ার খুরের খটাখট । আল্লাউদ্দীন ভীমসিংহকে নিয়ে কথায় কথায় ক্রমে পাহাড়ের নিচে এলেন। সেখানে একদিকে জনারের খেত, আর-একদিকে আমবাগান, মাঝে মেঠো রাস্তা। এই রাস্তার দুইধারে প্রায় দুশো পাঠান আল্লাউদ্দীনের হুকুম মতো লুকিয়েছিল। ভীমসিংহ যেমন এইখানে এলেন অমনি হঠাৎ চারিদিক থেকে পাঠান-সৈন্য তাকে ঘিরে ফেলল ; তারপর সেই অন্ধকার রাত্রে শত-শত শত্রুর মাঝে কুড়িজন মাত্র রাজপুত তাদের রানাকে উদ্ধার করবার জন্য প্রাণপণে যুঝতে লাগল ! কিন্তু বৃথা ! বাজপাখি যেমন ছো-মেরে শিকার নিয়ে যায়, তেমনি পাঠান আল্লাউদ্দীন রাজপুতদের মাঝখান থেকে রান a ఏ
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।