পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের তিনি পাঠিয়ে দিলেন । নিজে একটা চটিতে বিশ্রাম করছেন, এলেন বলে ? পথের ধারে চটিতে বিশ্রাম করার মানে পাচ ইয়ারে মিলে সিদ্ধি টেনে আড্ডা দেওয়া। বানা বুঝলেন ; বুঝেই বললেন, ‘বিপদেব সময় বিশ্রাম না করলেই নয় ? লোকজন সকলে বিদায় হল । রাজা রানী রাজবৈদ্য আর তু একজন দাসী অচৈতন্য আজিমকে ঘিরে রইলেন । সমস্ত রাত্রে রাজকুমারের চেতন হল না। রাজবৈদ্য ঘাড় নেড়ে বললেন, ‘আঘাত সাংঘাতিক। ভোরের আলোর সঙ্গে-সঙ্গে রাজকুমার একবার চোখ চাইলেন ; একবার 'মা' বলে ডাকলেন ; তারপর ভাঙা খাচা ছেডে iাখি যেমন উড়ে যায় তেমনি বাজকুমারেব সেই সেনাব দেহ ছেড়ে প্রাণ-পাখি চলে গেল। তারপর দিনের পর দিন কাটতে লাগল । অজয়সিংহ শোকে দুঃখে নিরাশায় দিন-দিন ম্রিয়মাণ হতে লাগলেন । আর সেই তুর্দান্ত মুঞ্জ ডাকাত দিন-দিন প্রবল হয়ে গ্রামবাসীদের উপর প্রজালোকের ঘবে বিষম উৎপাত আবম্ভ কবলে। এমনকি দুরন্ত ডাকাত এসে একদিন কৈলোরেব কেল্লা পর্যন্ত লুট কবে গেল ডাকাত অজয়সিংহের মুকুট কেড়ে নিয়ে তাব মাথায় তলোয়ালেং চোট মেরে চলে গেল । বুদ্ধ অজয়সিংহ, নেশাখোব সুজন বাহাদ্যৰ —প্রজালোককে কে বক্ষ করে ? একদিকে পাঠানের উৎপাত তাব একদিকে মুঞ্জ ডাকাতের নিষ্ঠুর অত্যাচাব । ওদিকে আবার চারিদিকে খবর হল— রানা আর বেশিদিন বাচেন কিনা সন্দেহ । রাজ্যে হাহাকার পড়ে গেল। সকলেই বলতে লাগল এতদিনে বুঝি সূর্যবংশের গৌরব শেষ হয়। সুজন বাহাদুর যে রাজ্য চালাতে পারেন, এমন তো বোধ হয় না । রাজ্যের যখন এই দুরবস্থা সেই সময় উজলাগ্রাম থেকে লছমীরানী হাম্বিরকে নিয়ে কৈলোরে উপস্থিত হলেন । রানার আত্মীয়-স্বজন দেশের সর্দার সামন্তু যে যেখানে ছিলেন উপস্থিত। রান সকালে সভা করে বসেছেন, হাম্বির এসে প্রণাম করলেন । রানা আশীর্বাদ రిపి