হইবেন । হাম্বির ও অন্যান্য কুমারের প্রতি আমার এই আদেশ যে র্তাহারা এই উত্তরাধিকার-সূত্র লইয়া বিবাদ না করেন। দেশের সংক অবস্থা— এ সময়ে গৃহ-বিবাদ বাঞ্ছনীয় নয়। আমাদের মধ্যে যে কুসস্তান এই গৃহবিবাদে লিপ্ত হইবে, ভগবান একলিঙ্গের অভিশাপ যেন তাহাকে স্পর্শ করে। ইতি সংবৎ ১৩৩৩ চিতৈরগড় । পত্র পাঠ শেষ হলে রানা সকলের দিকে চেয়ে বললেন, ‘এখন কী করা কর্তব্য ! রাজ্যের সমস্ত সামন্ত-সর্দারই উপস্থিত আছেন ; আমার ইচ্ছ, এই সভাতেই সিংহাসন সুজন বাহাদুরের কি হাম্বিরের এ বিষয়ের একটা মীমাংসা হোক। আমি বুঝেছি, আমি আর অধিক দিন নয়; অতএব আমি বেঁচে থাকতেই উপযুক্ত কোনো এক কুমারের হাতে দেওয়ানীর ভার দিতে চাই। এখন দুই কুমারের মধ্যে কে উপযুক্ত তোমবা সকলে স্থির করে। রাজসভায় তুমুল তর্ক উঠল। সেই সময় পেটমোটা, নেশায় ঢুলু ঢুলু রক্তচক্ষু স্বজনসিংহ সভায় প্রবেশ করলেন। সভায় দুইদল হল। একদল বললেন সুজন বাহাদুরেরই সিংহাসন পাওয়া উচিত, কেননা রাজ্য চালাতে বাহুবলের প্রয়োজন, এবং বাহুবলটা যে স্থজন বাহাদুরের যথেষ্ট আছে সেটা সকলেই জানে। অন্য দল বলে উঠল, শুধু কি বাহুবলের কর্ম। রাজ্য চালাতে হলে ধৈর্য চাই, বুদ্ধি চাই, সুজন বাহাদুরের এ দুটোর একটাও নেই। সৈন্যই রাজার বল, রাজাকে যদি নিজেই লড়াই করতে হল তবে আমরা আছি কী করতে ? আমরা তে। বলি হাম্বিরকেই রাজা করা উচিত। অন্যদল বলে উঠল, বাপুহে, যে দিনকাল পড়েছে, তাতে মুকুট মাথায় দিয়ে সিংহাসনে বসে থাকলে আর চলছে না ; এখন রীতিমতো লড়াই করতে হবে। আমরা এমন রাজা চাই, যে একাই একশে পাঠান ঠেকাতে পারে। দুইদলে প্রচণ্ড তর্ক, শেষে হাতাহাতি হবার যোগাড় । অজয়সিংহ বললেন, ‘তোমরা স্থির হও, আমি যা বলি শোনে । তোমরা তো জানো ভীল-সর্দার মুঞ্জ সেদিন কেল্লা লুট করে গেছে, আমাদের সাধ্য হয়নি যে তাদের বাধা দিই। সেই রাত্রে ডাকাত 〉○8
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।