অজয়সিংহ বললেন, যা ভালো বোঝে। তাই করে। আশীৰ্বাদ করি জয়ী হও । হাম্বির প্রণাম করে বিদায় হলেন । হাম্বির নিজের ঘরে বিশ্রাম করছিলেন, লছমীরানী এসে বললেন, ‘কই তোর যাবার কী হল ? তোর তো লড়ায়ে যাবার কোনো চেষ্টাই নেই দেখছি । ভয় পেলি নাকি ? এই যে বললি, ঘোড়া ঠিক করতে যাচ্ছি, আর ঘরে এসে ঘুম দিচ্ছিস । হাম্বির একটুখানি হেসে বললেন, ‘রোসো মা, ডাকাত ধরতে যাওয়া কি সহজ ব্যাপার ? একটু ভেবে নিতে দাও, ফন্দি আঁটতে দাও! একি বুনো শুয়োর, যে যাব আর জনারের শিষে গেথে আনব ? লছমীরানী বুঝলেন, হাম্বির মুখে তামাশা করছেন, কিন্তু মনেমনে যেন কী একটা মতলব স্থির করে বসে আছেন । তিনি হাম্বিরের দিকে চেয়ে বললেন, ‘বটে, আমার সঙ্গে তামাশা হচ্ছে ? একটা জনারের শিষ দিয়ে বুনো শুয়োর গেথে অনি, তবে বাহাদুর বুঝি। দেখা যাবে তোমার ঐ পুরোনো তলোয়ার আর দাগী ছোরায় কতদূর কী করে । এখন বল দেখি তোর মতলব কী ! তারপর মায়েতে ছেলেতে সেই নির্জন ঘরে সারাদিন কত কী পরামর্শ হল । সন্ধ্যা হয়-হয়, রানী লছমী বললেন, ‘তুই তবে প্রস্তুত হ– আর বিলম্ব করলে রাত্রি হয়ে পড়বে। হাম্বির বললেন, “আর প্রস্তুত কী, এই যেমন আছি, তেমনিই যাব । দেখো তো মা আমার ঘোড়াটা এল কিনা ? রানী উঠে গেলেন । হাম্বিরের ঘোড়া প্রস্তুত হয়ে এল । তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘দেখা যাক মা, পুরোনো তলোয়ার, দাগী ছোরা আর এই বেতো ঘোড়াটা নিয়ে কতদূর কী করতে পারি।’ মা আশীৰ্বাদ করলেন, ‘জয়ী হও । হাম্বির সেকেলে তলোয়ার কোমরে গুজে সামান্ত বেশে সেই বেতো ঘোড়ায় চড়ে বসলেন। সন্ধ্যার অন্ধকার গাঢ়তর হয়ে এল। ృ\లిy
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।