হাম্বির যেমন সন্ধ্যাবেলায় বেতো ঘোড়ায় চড়ে কৈলোরের কেল্ল। থেকে বেরিয়েছিলেন, ঠিক তেমনি সন্ধ্যাবেলা সেই বেতো ঘোড়ায় চডে কতদিন পরে রাজমুকুট সমেত মুঞ্জ ডাকাতের মুণ্ড নিয়ে ফিবে এলেন। কেল্লায় জয়জয়কার পড়ে গেল ! মহারানা সেই ভীলের র্কাচা রক্তে হাম্বিরের কপালে রাজটীকা লিখে দিয়ে বললেন, ‘রাজপুতের নিয়ম সিংহাসনে বসবার আগে টীকাজের ব্রত সাঙ্গ করতে হয়। আজ এই শত্রুর রক্তে তোমার এই ব্রত উদযাপন হল । আজ থেকে সিংহাসন তোমার, রাজমুকুট তোমার । কিন্তু মনে রেখো, মেবারের মুকুট উদ্ধার হল বটে, বাজা এখনো পাঠানের হস্তগত । তারপর মহারান সুজনসিংহকে ডেকে পাচ হাতিয়ার আর এক ঘোড়া দিয়ে বললেন, ‘তুমি মেবার ছেড়ে দক্ষিণ দেশে যাও। সেখানে তোমার ক্ষমতা থাকে তো নতুন রাজত্ব কবে গিয়ে । মনে ভেবো না যে তোমাকে আমি স্নেহ করি না, কিন্তু আমি বেশ বুঝছি, তোমার নির্বাসনে মেবারের মঙ্গল, তোমারও মঙ্গল । আর যদি ভগবানের ইচ্ছ। হয়, তবে তোমার সন্তানেব। একদিন দক্ষিণ দেশে অখণ্ড রাজ্য বিস্তার করবে। যাও, মনে বেখে। তুমি সূর্যবংশের সন্তান, তোমা হতে যেন সে বংশেব কলঙ্ক না হয় । নিজের উপর নির্ভব করে, তবেই বড়ো হতে পাববে |" 388
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।