উঠল। চিতোরের গড় বড়ো-বড়ো তাল-বন্ধ ঘর নিয়ে এতদিন শূন্য পড়ে ছিল, আজ সেই শাখের শব্দে পাচশো রাজপুতের তলোয়ারের ঝনঝনায় আর একবার যেন লোকে লোকারণা বোধ হতে লাগল , যেন তার আগেকার শ্রী আবার ফিরে এল । সেইদিন থেকে দুই বৎসর না যেতে সত্যি-সত্যিই হাম্বির এসে চিতোরের কেল্লা দখল করে নিলেন। দিল্লীর নবাব মহম্মদ খিলজীর কাছে এ খবর পৌছতে গেল মালদেবের ছেলে বনবীর । তার আশা ছিল মালদেবের পরে সে-ই চিতোরে বসে রাজত্ব করবে। তাই সে মহম্মদ খিলজীর সঙ্গে পাঠান ফৌজ নিয়ে চিতোরের দিকে আসতে লাগল । শিঙ্গোলীতে পাঠান বাদশা ফৌজ নিয়ে তাম্বু গেড়েছেন। লছমীরানীর সঙ্গে কমলকুমারী আর এক বছরের রাজকুমার ক্ষেতসিংহকে আর একবার কৈলোরের কেল্লায় পাঠিয়ে দিয়ে হাম্বির যুদ্ধে গেলেন । বাঘ যেমন হরিণের পালের উপর ঝাপিয়ে পড়ে তেমনি রাজপুতসৈন্য পাঠান ফৌজের উপর গিয়ে পড়ল। সেবারে মহম্মদ খিলজীকে জার দিল্লীর মুখে ফিরে যেতে হল না। হাম্বির তার দুই পায়ে শিকল দিয়ে চিতোরের কেল্লায় এনে তাকে বন্ধ করলেন । বনবীরেরও সেই দশা । কমলকুমারীর ভাই বলে সে-যাত্রা হাম্বির তাকে প্রাণে না মেরে বন্দী করে কৈলোরে নিয়ে উপস্থিত হলেন । হাম্বির থাকেন কৈলোরে, আর চিতোরে কড়া পাহারার মধ্যে থাকেন দিল্লীর বাদশা মহম্মদ খিলজী । এক মাস, ফু-মাস, তিনমাস যায়, হাম্বির আর চিতোরে যাবার নাম-গন্ধ করেন না । একদিন লছমীরানী তাকে ডেকে বললেন, ‘তুই কি পাঠান বাদশাকে চিতোর ছেড়ে দিলি নাকি ? যেখানে তোর রাজসিংহাসন, সেই চিতোর ছেড়ে কৈলোরে এসে বসে থাকা তো আর সাজে না । তোর রাজা হয়ে রাজসিংহাসনে বসবার ইচ্ছে নেই কি ? হাম্বির বললেন, ‘মা চিতোরের সিংহাসনে বসতে হলে কী চাই তা S & o
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।