পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চণ্ড হাম্বিরের নাতি লখারানা— লড়াই করতে-করতে তিনি এখন বুড়ো হয়েছেন। আর র্তার তলোয়ার, সে শত্রুর মাথা কাটতেকাটতে এমন ভোতা হয়ে গেছে যে কেবল মুঠসার একগাছা আখ কাটবারও ধার তাতে নেই। তলোয়ারের ধার না থাকুক লখারানার কিন্তু কথার ধার খুবই ছিল ; ঠাট্টায় তামাশায় তার মুখের কাছে দাড়ায় কার সাধ্য। বয়সের সঙ্গে রানার মসকরা করবার বাতিক ক্রমেই বেড়ে চলেছিল। সে একদিনের কথা— শাদা জামাজোড়া, শাদা দোপাট্টা, পাক৷ চুলের উপরে ধবধবে পাগড়ি পরে লখারান লক্কা পায়রাটি সেজে বসে আছেন । পাহাড়ের উপর শ্বেত পাথরের খোলা ছাদ– আধখানায় চাদের আলো পড়েছে, আর আধখানায় কেল্লার উচু পাচিলের কালো ছায়া বিছিয়ে গিয়েছে ; রানার চারিদিকে সভাসদ পারিষদ, সকলেব হাতে এক-এক খোরা সিদ্ধি। এখনি জলসা শুরু হবে— চাকরেরা বড়ো-বড়ো থালায় ফুলের মালা, পানের দোন এনে রেখেছে, গোলাপ আর আতরের গন্ধ, ছাদের এক কোণে একদল নাচনী সোনার ঘুঙুর এ-ওর পায়ে জড়িয়ে দিচ্ছে। এমন সময় রাজকুমার চণ্ডের সঙ্গে মাড়োয়ারের রাজকুমারীর ংিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে রণমল্লের দূত এসে উপস্থিত— রুপের পাতে মোড়া একটি নারকেল হাতে । মাড়োয়ারের দূত বেশ একটু মোটা ; তার উপর এগারোগজি থানের প্রকাণ্ড এক পাগড়ি বেঁধেছেন আর তার আগেআগে পেটটি এগিয়ে চলেছে। দূতকে দেখে লখারানা অনেক কষ্টে হাসি চাপলেন কিন্তু এই মানুষ-লাটিমকে নিয়ে একটু মসকর করবার লোভ তিনি আর কিছুতেই সামলাতে পারলেন না । রানা দূতের হাত থেকে রুপোয় মোড়, নারকেলটি নিজেই নিয়ে Σ & Φ.