জলে জলভরা সেই সকালের মেঘ, তারই দিকে চেয়ে চণ্ড ঘুমিয়ে পড়লেন । এদিকে বেলা হয়েছে । রাজসভায় যাবার ঘণ্টা পড়েছে— মহারানী মকুলকে সাজগোজ করিয়ে বসে রয়েছেন এমন সময় মকুলের দাই এসে বললে, রানীম, আজ আর সভা বসবে না ; বড়োকুমার চণ্ডের শরীর খারাপ হয়েছে। সেখানে মহারানীর বাপ রণমল্ল বসেছিলেন ; তিনি বলে উঠলেন, ‘কেন, বড়োকুমার নইলে রাজসভা বন্ধ থাকবে, রানা মকুল কি কেউ নয় ? দাই সে অনেক দিনের, চণ্ডকেও সে মানুষ করেছে— রণমল্লের কথায় কী একটা জবাব দিতে যাচ্ছিল, রানী তাকে ধমকে বললেন, যা, তোর আর তকরার করতে হবে না ; বাবা এখুনি মকুলকে নিয়ে সভায় যাচ্ছেন ; তুই সর্দারদের বসতে বলগে যা ? মেবাবেব সিংহাসনে সেই দিন সূর্যবংশের কেউ না বসে, বসল কিন। পে৮নোট মাড়োয়ারী রণমল্ল নাতি মকুলকে কোলে নিয়ে ! লজ্জায় সর্দারদের মুখ লাল হয়ে উঠল! সেই সময় চণ্ড হঠাৎ ঘুমের থেকে চমকে উঠে চেয়ে দেখলেন আকাশে গ্রহণ লেগেছে, সূর্য একখান কলঙ্ক-ধরা তামার থালার মতে দেখা যাচ্ছে, আর সেই বুড়ি দাই তাব পায়ের তলায় বসে দুই হাতে মুখ ঢেকে র্ক দিছে। সেদিন সভাভঙ্গের পর বর্ষাকালেব আকাশেব মতো মুখ তাধাব করে বাজপুত সদারেরা যখন চণ্ডের কাছে এসে উপস্থিত, তখন চণ্ড র্তাদের হাত ধরে অনুরোধ করে বললেন, ‘দেখুন, মহারানীমা’র ইচ্ছা নয় যে, আমি আর মেব।রের কোনো রাজকা" চালাই ; কাল রাত্রে একথা মহাবানীমা নিজের মুখে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, আজ সকালে তারই হুকুমে মাড়োয়াবেল বাজা রণমল্ল মকুলেব দেখাশোনাব ভার নিয়েছেন, এখন থেকে বজ্যেব কাজ তিনিই চালাবেন, আমাল এখন ছুটি ; মায়েব আদেশ হাজ সকালে আমার কাছে পৌচেছে মকুলকে আর এই বাপ্পার সিংহাসন আপনাদের জিন্মায় রেখে আমি এখনি বিদায় হব, আমার ঘোড়া প্রস্তুত।” >W。 ذ لاسسس ج ، حة
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।