ইতিমধ্যে হঠাৎ একদিন খবর এল রঘুদেব মকুলকে দেখতে নগরে আসছিলেন, হঠাৎ মারা পড়েছেন ; দেশের লোক হাহাকার করে বলছে রণমল্ল তাকে বিষ দিয়ে খুন করেছে, সমস্ত মেবার তার মূর্তি ঘরে-ঘরে রেখে পুজো করছে আর মাড়োয়ারী শেয়ালরাজ আর তার দলবলকে খুনে, বদমাস, চোর বলে অভিসম্পাত দিচ্ছে । বুড়ি দাই রানীকে এসে বললে, “এখনও যদি ভালো চাও তো চগুজীকে খবর পাঠাও, না হলে তোমার মকুলের দশা কোন দিন রঘুদেওজীর মতো হবে।’ কিন্তু খবর তাকে দেয় কে ? যে চিঠি বইবে সে রণমল্লের লোক, আপনার লোক দিযে সে রাজ্যট। ভরিয়ে রেখেছে, তার চর রানীর তান্দরে ঘুরছে, তার অনুচর সর্দারের বাসায়-বাসায়, গ্রামে-গ্রামে, প্রজাদেব ঘরে-ঘরে, পাঠশালায়, মন্দিরে, মঠে ! কে কোথায় কী করছে, কী বলছে সব খবর পাচ্ছে সেই পেটমোটা মাড়োয়ারী রাজা রণমল্ল চ কৰদেব সর্দার, চোবের শিরোমণি । নগরের ফাটকেফাটকে কেল্লার বুরুক্তে-বুঝজে তার চেলাব সব থানা বসিয়ে পাহার দিচ্ছে দিন-বাত । বাগে ভয়ে দুঃখে রানী অস্থির হয়ে পড়লেন, চারিদিক অন্ধকাব দেখতে লাগলেন, চণ্ডকে রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তিনি কী ভুলই করেছেন, তাজ সেটা হাড়ে-হাড়ে বুঝতে র্তার বাকি রইল না । রানী বুড়ি দাই-এর তুই প৷ জড়িয়ে কাদতে-কাদতে বললেন, ‘চায়, আমার কী হবে ? যে রানী একদিন তাকে দূর-দূর করে তাড়িয়েছিলেন, আজ তাকে পা জড়িয়ে কাদতে দেখে বুড়ির চোখে জল এল । সে রানীকে শান্ত করে বললে, “আমি খবর পাঠাবার ব্যবস্থা করছি ; কিন্তু রানীম, তুমি খুব সাবধানে কাজ করবে যেন আমাদের মনের কথা কেউ না জানতে পারে । তোমার বাপ শুনতে পেলে বড়ে বিপদ হবে, তার মুঠোর ভিতরে এখন সমস্ত রাজা, সে যদি গলা টিপে তোমার মকুলকে মেরে ফেলে, তবে ভয়ে কেউ একটি কথা ও বলবে না।’ রানীর সঙ্গে কথা ঠিক করে দাই .যখানে বুড়ে রণমল্লটা 〉やQ
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।