চিনে-পটকা পুড়িয়ে খুব খানিকটা ধোয়া আর খুব খানিকটা আমোদ করে নিচ্ছে । মকুলের তাজ আনন্দের সীমা নেই! এক সোনার সাজ-পর কালো ঘোড়ায় চড়ে তিনি শহরময় ঘুরে ঘুরে দেওয়ালীর আলো দেখে বেড়াচ্ছেন। আর রানীমা, কেল্লার ছাদে একলা তিনি চুপ করে অন্ধকারে দাড়িয়ে তাছেন, যত রাত বাড়ছে ততই তার মনে হচ্ছে চণ্ড বুঝি এলেন না। তাজ যে এই গে-সুন্দ নগরে দেওয়ালীর রাতে র্তার দলবল নিয়ে তাসবার কথা, কিন্তু কই ? দেখতে-দেখতে শহরের আলো নিবে এল ; মকুল তার ঘোড়া ফিরিয়ে কেল্লায় এলেন, কিন্তু চণ্ডের তাসবার কোনো লক্ষণ নেই, এই রাত্রের মধ্যে র্তাদের চিতোরে ফিরতে হবে, তার তে সময় নেই। রানী তন্ধেকার আকাশের দিকে চেয়ে কঁদিতে লাগলেন, তুষ্ট চোখের জল তার বুকের কাপড় ভিজিয়ে দিতে লাগল । এদিক্ষে স্বন্দেশ্বরীর মন্দির থেকে ঢ-ঢং করে রাত দশটার ঘণ্ট৷ পড়ছে, লোকজন প্রস্তুত হয়ে চিতোরে যাবার জন্তে পালকি নিয়ে উপস্থিত হয়েছে, মকুল রানীকে ডাকছেন যাবার জন্যে কিন্তু রানীর পা আর উঠছে না, তার বুকের ভি রে যেন হাতুড়ির ঘা দিয়ে অন্ধকারে ঘণ্ট বাজছে এক, দুই, তিন, চার । রাত দশটার ঘণ্ট। বেজে থেমেছে – অন্ধকার আকাশ বাতাস তারক্ট শব্দের রেশায় এখনো রী-রী করে কঁপিছে, ঠিক সেই সময় পাহাড়ের নিচে বনের মাঝ দিয়ে দশটা হাউই তা গুনের সাপের মতে ফোস ম র ফণা ধরে আকাশে উঠে দপ করে তালোব ফুল হয়ে আকাশময় ছিটিয়ে পড়ল — আলোয় চারিদিক দিন হয়ে গেছে, শহরের লোক আশ্চর্য বাজি দেখতে হৈ-হৈ করে রাস্তায় ছাদে যে যেখানে পেরেছে বেরিয়ে এসেছে! রানী মকুলের হাত ধরে বললেন, সময় হয়েছে, আর দেরি না চলো । মকুলের ইচ্ছা আরে খানিকটা ছাদে দাড়িয়ে বাজি দেখেন । কিন্তু রানী তাকে জোর করে ধরে পালকিতে ওঠালেন, আকাশের হাউই র্তাদের মাথার উপরের লাল আলোর পুষ্পবৃষ্টি করে অন্ধকারে ›ዓ »
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।