পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেড়ে চলল বই কমল না। লোককে নিয়ে তামাশা করার নেশা লখারানার মতো মকুলেরও কম ছিল না! একদিন দুই চাচা তাকে স্পষ্ট মুখের উপর শুনিয়ে দিলেন যে বাপের তামাশার ফলে তিনি যে সিংহাসন পেয়েছেন, নিজের তামাশার দোষে সেটা কোনদিন বা র্তাকে হারাতে হয়! চাচার মনের কথা এমন স্পষ্ট শুনেও মকুলের চোখ ফুটল না। খুড়োদের ক্ষেপিয়ে তিনি তামাশা করেই চললেন। সেদিন বনের মধ্যে একটা গাছে হঠাৎ রাত্রেব মধ্যে রাঙা ফুল এত ফুটে উঠেছে যে মনে হচ্ছে বনে কে আগুন ধরিয়ে গেছে! মকুল সেই গাছটা দেখিয়ে পাশের একজনকে গাছের নামটা শুধোলেন । সে ঘাড় নেড়ে বললে, ‘গাছের খবর আমরা রাখিনে রানাসাহেব ! মকুল তার দুই খুড়োর দিকে চেয়ে বললেন, গাছটার নাম কী আপনারা জানেন চাচা ? শাদা কথা কিন্তু দুই খুড়ো বুঝলেন, তাদের মা ছিলেন কাঠুরের মেয়ে, কাজেই গাছের খবর তাদেরই কাছে পাওয়া সম্ভব— এইটেই রানা ইশারায় জানালেন। মা যেমনই হোক, সে তে মা, তাকে নিয়ে তামাশা কোন ছেলে সইবে ! সেইদিনই তই খুড়ে মকুলের কাজে ইস্তফা দিয়ে সভা ছেড়ে শুকনো মুখে বিদায় হয়ে গেলেন । রানার দেওয়া সাজসজ্জা, অস্ত্র-শস্ত্র, টাকা-কড়ি, লোক-লঙ্গর, হাতিঘোড়া সব পড়ে রইল ; কেবল একটি মা-হারা মেয়ে যাকে রাস্ত থেকে কুড়িয়ে এনে দুই ভায়ে আপনাদের সব ভালোবাসা দিয়ে পুষেছিলেন, তাকেই কোলে করে সেপাই সর্দার সবার মাঝখান দিয়ে মাথা নিচু করে চলে গেলেন– একেবারে বন ছেড়ে । দুই খুড়োর উপর কতটা অন্যায় হয়েছে, মকুল তখন বুঝলেন। মাপ চেয়ে দুই খুড়োকে ফিরিয়ে আনতে লোকের পর লোক গেল, কিন্তু তুই খুড়ো আর ফিরলেন না ! অনুতাপে মকুল সারাদিন দুঃখ পেতে থাকলেন নিতান্ত ভালোমানুষ নিরুপায় দুই খুড়োর শুকনো মুখ তাকে আজ কেবলি ব্যথা দিতে লাগল। তিনি সন্ধ্যাবেল শিবির ছেড়ে একা বনের মধ্যে বেড়াতে গেলেন । সর্দারের রানার 為bro