কেউ বললে, দিল্লীর বাদশা দিয়ে গেছেন ; কেউ বললে কে-এক উদাসীন, কেউ বা আরো কত কী ! কিন্তু মীরা অমূল্য হার রানাকে ন দিয়ে যে রণ ছোড়জীকে নিবেদন করে দিয়েছেন তাতে সবাই খুশি হল। ভক্তেরা মীরার জয়জয়কার দিলে! কিন্তু কুম্ভ রান একটু চটলেন । তিনি হুকুম দিলেন, ‘এবারে ভক্তেরা আসুন আর মীরা থাকুন বন্ধ অন্দরে। এই হুকুম দিয়ে রান মহম্মদ খিলজীর সঙ্গে লড়ায়ে চলে গেলেন। মীরার গান বন্ধ হল । সেই সঙ্গে চিতোর নিরানন্দ হয়ে গেল । মন্দিরে র্কাদে ভক্তেরা ; অন্দরে কাদেন মীরা । নন্দলালার দেখা না পেয়ে বন থেকে ছিড়ে আনা ফুলের মতো মীরা দিন-দিন মলিন হচ্ছেন, এমন সময় একদিন যুদ্ধ জয় করে ধুম-ধামে মহারান চিতোরে এলেন। মামুদ-শাকে তার মুকুটের সঙ্গে রান চিতোরে বন্ধ রাখলেন । রাজ্যের কারিগর মিলে পাথর কেটে চিতোরের মাঝখানে প্রকাণ্ড জয়স্তম্ভ তুলতে আরম্ভ করলে । কিন্তু মীরার মন রানা জয় করতে পারলেন না ; মীরা বললেন, ‘রানা, আমি নন্দলালার দাসী, আমাকে ঘরে বন্ধ কোরো না । আমি শুনতে পাচ্ছি আমার নন্দলাল বাইরে থেকে আমাকে ডাকছেন– “মীরা আয় ? আমাকে ছেড়ে দাও রানা, আমি পথের কাঙালিনী হয়ে নন্দলালার সঙ্গে বৃন্দাবনে চলে যাই ! রানা রেগে বললেন, ‘রতিয়া সামান্য সর্দার, তার মেয়ে তুমি ! তোমার কপালে সিংহাসন জুটবে কেন ? যাও বেরিয়ে— যেখানে খুশি – তাম নতুন রানী নিয়ে আসছি । সেইদিন চিতোরেশ্বরীর মীরা, নন্দলালার মীরা, ভিখারিনীর মতো একতারা বাজিয়ে পথে বার হলেন । আর রানা বার হলেন নতুন রানীর খোজে। মন্দুর-রাজকুমারের সঙ্গে ঝালোয়ারের রাঠোর সর্দারের মেয়ের বিয়ে, বর আসছে ধুমধাম করে, এমন সময় রান কুম্ভ এসে ঝলকুমারীকে সভার মধ্যিখান থেকে কেড়ে নিয়ে চিতোরে আনলেন । একে মহারানা, তাতে কুম্ভ, তার উপর কথ কয় রাজস্থানে এমন তো কেউ নেই! কেবল বৃন্দাবনে মীরা যখন শুনলেন, মন্দুর సె:
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।